নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে মেরিনাররা : ওয়েজ আরনার্স বন্ড কেনার অনুমতি পুনর্বহালের দাবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১৯৮৮ সাল থেকে মেরিন কর্মকর্তারা ওয়েজ আরনার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড কিনছেন। সব রেমিট্যান্স আর্নাররা এমনকি, বাংলাদেশ সরকারের বেতনভুক্ত বিদেশি মিশনের কর্মকর্তারাও এ বন্ড কিনতে পারছেন। তবে রেমিট্যান্স উপার্জনকারী হয়েও মেরিন অফিসারদের এই সুবিধা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করা এসব কর্মকর্তাদের এই সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে মেরিন কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার এসোসিয়েশন।
রাজধানীর ইস্কাটনে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, সহসভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন কাদরি, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আলী হোসাইন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজে কর্মরত মেরিন অফিসাররা ওয়েজ আরনার্স হয়েও ওয়েজ আরনার্স ডেভলপমেন্ট বন্ড কিনতে বর্তমানে আর বিবেচিত হচ্ছেন না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘মেরিন কর্মকর্তারা এই বন্ড ক্রয় করতে পারবেন না’ মর্মে নির্দেশনা জারি করে, যা বাস্তবতা বির্বজিত।
কারণ হিসেবে সংগঠনের নেতারা বলছেন, ১৯৮৮ সাল থেকে মেরিন কর্মকর্তারা এই বন্ড কিনে আসছেন। কারণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হওয়াতে এসব কর্মকর্তারা কোনো ধরনের পেনশন সুবিধা পান না। তাই অবসরকালীন সময়ে একমাত্র পথ এই ওয়েজ আরনার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সুবিধা বাতিল করায় কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মেরিন অফিসাররা চাকরির মেয়াদকালে চাকরির নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট জাহাজের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে মালামাল পরিবহনের নিমিত্তে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেন। আবার কখনো জাহাজ একটি নির্দিষ্ট দেশে থাকলে তিনি ওই দেশেই অবস্থান করেন। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা ও শিপিং কোম্পানির ওপর।
মেরিনাররা চাকরির চুক্তির পুরো সময় দেশের বাইরে অবস্থান করেন, যা সরকারের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টেও নথিভুক্ত থাকে। চাকরিচুক্তির নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত ৪-৯ মাসের) মেরিন অফিসাররা বিদেশি ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তাদের এই কষ্টার্জিত মঞ্জুরি ও বেতন বৈধভাবে দেশে পাঠান।
মেরিন অফিসারদের জাহাজে যোগদান এবং জাহাজ থেকে নামার যাবতীয় তথ্য জাহাজের মাস্টার (ক্যাপ্টেন) সিম্যান বুক এবং সরকারিভাবে শিপিং অফিসে যথাযথভাবে নথিভুক্ত করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ দলিল এবং বিশ্বের সব দেশে স্বীকৃত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়