নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক : সরকারি কর্মচারীরাও ‘জয় বাংলা’ সেøাগান এড়িয়ে যায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বলার জন্য আইন করা হয়েছে। তবুও সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বলে না এবং এড়িয়ে যায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের সংস্কৃতি এমনভাবে আক্রমণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করেন, সংবিধান ও জয় বাংলাকে অস্বীকার করেন। মাদ্রাসা এমনকি কেজি স্কুলেও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। সরকারি আইন আছে, উচ্চারণ করা বাধ্যবাধকতা এবং সংবিধানের অংশ কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানে, সরকারি কর্মচারীরা অনেকেই ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করে না। অনেকেই এড়িয়ে চলে।
৫১তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর সংবিধানকে সা¤প্রদায়িকতার কলঙ্ক থেকে মুক্ত করুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই সভার আয়োজন করেন। লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দুটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭২ এর সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। এই সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। পরে সংবিধান সংশোধন করে লেখা হয় ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’।
দুটি সাংঘর্ষিক। কী প্রেক্ষাপটে পরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন হয়নি তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো বলতে পারবেন।
বিএনপি সংবিধান মানে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে কম হলেও ত্রিশ ভাগ লোক আছে যারা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছিল। তারা কমে নাই। কোন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয় নাই। কিন্তু অনেক মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পক্ষ ত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছেন। উনারা কোনো নির্বাচিত ব্যক্তি নন যে ১০ ডিসেম্বর সরকার গঠন করবে। এই দুই মাসের মধ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। জাতীয় নির্বাচনের সিডিউলও ঘোষণা হয় নাই। ফলে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রকাশ্যে অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা (বিএনপি)।
শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠ অবদান হলো এ দেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অবদান হলো এই রাষ্ট্রের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান তৈরি করে দেয়া।
মনোজগত থেকে মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িকতার আধিপত্য যতদিন নির্মূল করতে না পারব, ততদিন সংবিধানের সবকিছু থাকলেও কোনো কাজ হবে না।
আরমা দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন ধর্ম দিয়ে সম্পর্কে বণ্টন করা যায় না। এবং তারই প্রমাণ ছিল ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, এই দিনে আমরা একটা সংবিধান পেয়েছিলাম। আমাদের সংগ্রাম ছিল সংবিধান দিবস পালন করার। সরকার ৪ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সংগ্রামটা সফল করল।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, সংবিধানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বিএনপি। অস্থিতিশীলতাকে বিএনপি ও জামায়াত তাদের মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়েছে। এই অস্থিতিশীলতার সর্বশেষ শিকার বিচারপতি মানিক। সংবিধানকে এই অস্থিতিশীলতা থেকে যদি মুক্ত করতে না পারি, তাহলে আমাদেরও আক্রান্ত হতে হবে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়