নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

বন্দোবস্ত নেয়া খালে থামছেই না স্থাপনা নির্মাণের কাজ : সিংগাইর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মুন্সিনগর মৌজায় বন্দোবস্ত নেয়া খালের জায়গায় বহুতল ভবনসহ একাধিক স্থাপনা নির্মাণের কাজ থামছে না।
গত ৩১ অক্টোবর ভোরের কাগজসহ একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে কিঞ্চিত টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. কুদ্দুছুর রহমান স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এর একদিন পর থেকেই পুরোদমে চলছে অবৈধ কর্মযজ্ঞ। নির্মাণকাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত শ্রমিক।
সূত্র মতে, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মুন্সিনগর মৌজায় নকশা-পর্চায় খাল থাকলেও নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দেয়া হয়েছে বন্দোবস্ত। আর সেই জমিতেই নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক পাকা স্থাপনাসহ পাঁচতলা ভবন। জনৈক বাবুল হোসেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে ঘটনাটি তুলে ধরে আদালতে মামলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও নেয়া হচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা।
সরজমিনে দেখা যায়, রামনগর বাজার সংলগ্ন মুন্সিনগর মৌজায় আরএস ১৩৬নং দাগে নকশায় দৃশ্যায়িত রয়েছে খাল। ওই খালকে নাল দেখিয়ে ১৯৮৭ সালে আইনুদ্দিন চৌকিদার ও খালেক চৌকিদারের নামে ৯০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই জায়গার খালেক চৌকিদার ৫০ শতাংশের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ না করলেও আইনুদ্দিন চৌকিদারের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা ৪০ শতাংশ জমিতে খাল ভরাটের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
অভিযোগকারী মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমি ডিসির কাছে গিয়েছিলাম। তিনি এসিল্যান্ডকে ফোন করে কাজ বন্ধ করার কথা বললেও নির্মাণ কাজ বন্ধ হচ্ছে না। অভিযোগ দায়েরের পর কাউছারগং আমার অটোরিকশাটিও চুরি করে নিয়ে গেছে। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে বসবাস করতে পারছি না।
ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা কুদ্দুছুর রহমান বলেন, আমি স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিলেও শুনেছি আবার কাজ শুরু করেছে। আমি ছোট অফিসার। আপনারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, বাবুল নামের এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট দেখে আমি ইউএনওকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন দেখে কাগজপত্র, নকশা-পর্চা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়