নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

কর্মশালায় বক্তারা : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থাকলে বিশ্বের আজ এই সংকট হতো না

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নবায়নযোগ্য জ¦ালানির পর্যাপ্ত ব্যবহার থাকলে বিশ্ববাসীকে আজ এই সংকটে পড়তে হতো না। বায়ু বিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৩০ ও ২০৪১ সালে জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। গতকাল শুক্রবার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘ডায়ালগ উইথ মিডিয়া রোড টু কপ-২৭: দি ইমপরট্যান্স ট্রানজেকশন টু ক্লিন এনার্জি’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় মূল আলোচক বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। বর্তমান বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি জ্বালানি সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পর্যপ্ত ব্যবস্থা থাকলে বিশ্ববাসীকে আজ এই সংকট দেখতে হতো না। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৩ স্থানে বায়ু বিদ্যুতের প্রকল্প চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সৌরশক্তিসহ বায়োগ্যাসের মাধ্যম নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৩০ ও ২০৪১ সালে জ্বালনি লক্ষ্যমাত্র অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, সচেতনতা ও আইনি বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ সবুজ জ্বালানিতে প্রবেশ করতে পারবে। কপ-২৭ সম্মেলনে এবার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে জোরাল আলোচনা হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, পরিবেশ নিয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েও করতে পারিনি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে পিআইবি নিয়মিত এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনেক বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, পরিবেশবিষয়ক গবেষণার টার্মগুলো সবার বোধগম্য নয়। এগুলো সাংবাদিকরাই সবার জন্য বোধগম্য করে তুলতে পারে, যা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আইনজীবী মারুফা গুলশান আরা বলেন, ক্যাপসের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই ধরনের কর্মশালাগুলো সাংবাদিকদের কাজের জন্য সহায়ক। কপ-২৭ এর মতো পরিবেশগত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করা উচিত।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৭০ ভাগ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হওয়া দরকার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রুপান্তর।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন, প্রভাষক মাহমুদা ইসলাম ও প্রভাষক হুমায়ুন কবির।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়