নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ : পরিকল্পনা ও পলিসিতে ঘাটতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ও পলিসিতে ঘাটতি থাকায় মহাসড়কে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনে সরকারের যারা দায়িত্বে আছেন তারা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করার পরও দুর্ঘটনা কমছে না। ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।
এই যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মহাসড়কে ঝুঁকি কমাতে চাইলে সড়ক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে। সব মহাসড়কের দুই পাশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস রোড চালু করতে হবে। এতে মহাসড়ক

একদিকে ঝুঁকিমুক্ত হবে এবং থ্রি-হুইলারসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন সব সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে হবে। সড়কের ব্যবস্থাপনা সক্ষমতার বাইরে চলে গেলে সড়কে বিপদ ও ভোগান্তি আরো বাড়বে। ঈদের সময় সড়কে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এ সময় নিজেদের রাজত্ব কয়েম করে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকরা যেন সড়ক মহাসড়কে উঠতে না পারে- এই মুহূর্তে সেদিকে নজর দেয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। এটা কঠোরভাবে কার্যকর করা গেলে সব সড়কের চিত্র পাল্টে যাবে। এটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘এন্টিবায়োটিকের’ মতো কাজ করবে।
ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম এক দিনে তৈরি হয়নি। যারা সড়ক নিরাপদ রাখবেন, নিয়ন্ত্রণে রাখবেন- তারা যদি শুরু থেকে মহাসড়কে নজরদারি ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতেন- তাহলে আজকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। অব্যবস্থাপনাও থেকে যায়। পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ করা হলে সব ক্ষেত্রেই ঝুঁকি কমে যায়। আর কঠোরভাবে আইন মেনে যানবাহন চললে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে। এক্ষেত্রে আমরা দেখে আসছি, কেউই সতর্ক নন। দক্ষ চালকের অভাব, চালকদের শারীরিক সক্ষমতার অভাব, চালকদের কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, সড়ক আর মহাসড়ক সব জায়গাতেই মোটরসাইকেলের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। মোটরসাইকেলকে উৎসাহ দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু মোটরসাইকেল এখন ঝুঁকিপূর্ণ বাহন এবং যে কোনো চার চাকার যানের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এই বাহনটি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হচ্ছে না। গত ঈদের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরও দেখা গেছে ৪০ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। আইন না মানার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়