বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : শুরু থেকেই বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি রাখতে বলেছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার বিষয়টি প্যারিস এগ্রিমেন্টে ছিল না। সেখানে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধরা হলে আমরাই এর বিপক্ষে আওয়াজ তুলি। এখন অনেক দেশ যে ১ দশমিক ৫ কথাটি বলছে তা আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি। এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন। তবে ২৬ বছর পেরোলেও এখনো কপ এর কার্যপরিধি নির্ধারণ করা যায়নি। তাই আমরা বা অন্যান্য দেশ এই সম্মেলন থেকে যা প্রত্যাশা করছি তা দর কষাকষির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। আসন্ন কপ-২৭ সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতি কী হবে তা নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের ভাবনা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কনফারেন্স হলে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) নির্বাহী প্রধান মো. শামসুদ্দোহা। আরো বক্তব্য রাখেন একশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, কপ সম্মেলনগুলোয় বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক যেসব উপাত্ত বলা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এর একটি বড় কারণ জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র নেই, একটি বা দুটি দেশ অনেক সময় প্রক্রিয়াকে থামিয়েও দেয়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের অভিযোজন, প্রশমন ও জলবায়ু অর্থায়নে ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে পারস্পরিক বিশ্বাসে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি রাখার

পক্ষে জনমত তৈরি করতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়াতেই কী রকম বিপর্যয় বিশ্বে নেমে এসেছে, সেটি আমরা দেখছি। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন বর্তমান অঙ্গীকারগুলো রক্ষা করা হলেও এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ উষ্ণায়ন ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এর ফলে যে বিপর্যয় নেমে আসবে সেটি কল্পনাও করা যায় না।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযোজনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু তার একটা সীমারেখা আছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে একটি ওভারল্যাপিং আছে। আমার একটি ব্যক্তিগত মতো হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করতে হবে। এই সংকট সমাধানে দুটি আলাদা মন্ত্রণালয় করলে হয়ত একটা সমাধান আসতে পারে। তিনি বলেন, সিপিআরডিসহ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে যে প্রকাশনার মোড়ক এখানে উন্মোচিত হলো, তাতে দেখলাম অনেক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে যা বাংলাদেশের ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনে অনেক সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬-১৮ নভেম্বর মিসরের শার্ম আল-শেখে ইউএনএফসিসিসি এর ২৭তম সমঝোতা সম্মেলন কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়