বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

মধুপুরে ‘আ’বিমা ওয়ানগালা’ উৎসব আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শালবনে ঘেরা মধুপুরের ছোট্ট গ্রাম আমলীতলা। গ্রামের বাসিন্দারা গারো আদিবাসী স¤প্রদায়ের মানুষ। এই স¤প্রদায়ের আদিধর্মের নাম ‘সাংসারেক’। সাংসারেক ধর্ম অনুসারে প্রতি বছর ধর্মীয় রীতিনীতির অনুষঙ্গ হিসেবে পালিত হতো ওয়ানগালা উৎসব। ওয়ানগালা মূলত গারোদের নবান্ন উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে ফসলের দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু হাল আমলে অধিকাংশ গারো মানুষ বিভিন্ন আধুনিক ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। ফলে তাদের আদিধর্ম সাংসারেক অনুসারে ওয়ানগালা অনুষ্ঠান উদযাপন হয় না বললেই চলে। কিন্তু কিছুসংখ্যক তরুণ-যুবক তাদের আদিধর্মের ঐতিহ্য রক্ষায় ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবারের উৎসবের নাম দিয়েছেন তারা ‘আ’বিমা ওয়ানগালা’।
এ প্রসঙ্গে উৎসবের আয়োজক কমিটির সভাপতি ওয়ারি নকরেক মারাক জানান, ‘আমাদের আদি এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্ম দুটোই বিলুপ্ত প্রায়। আমাদের আদি সংস্কৃতি ও ধর্ম বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে আমরা ২০১৫ সালে একটা কমিউনিটি বা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। সে সময় থেকেই আমরা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মের চর্চা করে যাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, এখনো কয়েকজন মাত্র বয়োবৃদ্ধ বেঁচে আছেন, যারা সাংসারেক ধর্মের অনুসারী এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। আমরা চাই বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এ সকল বয়োবৃদ্ধের সম্মিলন ঘটিয়ে সাংসারেক ধর্মের প্রতি গারো তরুণ-তরুণীদের প্রভাবিত করতে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকার আমলীতলা খেলার মাঠে। এ উৎসবে ওয়ানগালা পূজা-অর্চনা ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসবের অন্যতম সমন্বয়ক জহির বলেন, বিলুপ্তপ্রায় সাংসারেক ধর্মটি মূলত আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অংশ। যে কারণে এই উৎসবের সঙ্গে আমার মতো অনেক বাঙালিও জড়িত নানাভাবে সহযোগিতা করার জন্য। নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীকে এই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে ওয়ানগালা ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী গারো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ফ্যাশন শো, দেশি এবং বিদেশি গারো ব্যান্ড পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী যারা আসবেন, তাদের জন্য শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশে তাঁবু স্থাপনের মাধ্যমে একটা ক্যাম্পসাইট তৈরি করা হয়েছে- যাতে তারা বিশ্রাম ও রাত্রিযাপন করতে পারেন। আমরা দেশের সুধীজন ও ভ্রমণপিপাসুদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়