বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

বৃত্তি ও চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ : প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ভুয়া প্রকল্পে শিক্ষা বৃত্তি ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় শত শত নারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগী শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে প্রতারক খন্দকার সালমা শওমী (৩৫) ও শাহানাজ খন্দকার শাহীন (৪০) এবং দুই সহযোগী তিলক দেওয়ান (৩৫) ও বিনা দেওয়ানকে (৫৫) আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় বিনা দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত নারীকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. শামিম মিয়া।
এসআই শামীম জানান, বঙ্গবন্ধু থিম এন্ড থিংক পার্ক, শাহীন টিউটরিয়াল ও হাসুমনির সম্প্রীতি নামক ভুয়া তিনটি প্রকল্পে শিক্ষা বৃত্তি ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় শত শত নারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সহোদর বোন খন্দকার সালমা শওমী ও শাহানাজ খন্দকার শাহীন। এসব প্রকল্পে ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে তিন শতাধিক নারীর কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জামানত হিসেবে ১২ হাজার ও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। তবে নিয়োগকৃতদের দেয়া হয়নি কোনো বেতনভাতা। এছাড়া চক্রটি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষা বৃত্তির নামে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম ও নিবন্ধন বাবদ ৪শ করে টাকা নিলেও দেয়া হয়নি শিক্ষাবৃত্তি। অন্যদিকে শাহীন টিউটোরিয়াল নামক প্রকল্পের নামে বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি টাকা। ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে খন্দকার সালমা শওমীর স্বামী ও শাশুড়ি তাদের প্রাণনাশসহ নানান হুমকি দিতেন।
মামলার বাদী শাহিনুর আক্তার বলেন, আমি আমার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চাকরি খুঁজছিলাম। ঠিক সেই সময়ে জানতে পারি বঙ্গবন্ধু থিম এন্ড থিংক পার্ক নামের প্রকল্পে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। আমি ১২ হাজার টাকা জামানত দিয়ে চাকরিতে যোগ দিই। এছাড়া চাকরি স্থায়ী ও সরকারিকরণসহ বিভিন্ন প্রমোশনের কথা বলে কয়েক দফায় বেশকিছু টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। তাছাড়া আমাদের পেনশন, প্রভিডেন্ড ফান্ড ও রেশন দেয়ার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়