বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ : আগেভাগে এসেই হোটেলে অবস্থান নিলেন নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. কে. রানা, বরিশাল থেকে : বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের ৬ জেলা থেকে অধিকাংশ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বরিশালে পৌঁছে গেছেন। এছাড়া আজ এবং আগামীকাল শনিবার আরো নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। আত্মীয় স্বজনের বাসা এবং আবাসিক হোটেলে তারা অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বুধবার রাতে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা। অবশ্য এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কোনো লাভ হবে না, ৬৫ শতাংশ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বরিশাল শহরে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, প্রয়োজনে নেতাকর্মীরা নৌপথে-ট্রলারে ও সড়কে বাইসাইকেলে করে আসবেন, আর তাতেও সমস্যা হলে হেঁটে আসবেন। এদিকে বাস ও থ্রি হুইলার ধর্মঘটের পর এবার বরিশাল-?ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিক স?মি?তি লঞ্চ বন্ধের কোনো কারণ জানাতে না পারলেও ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ।
আগামীকাল বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এ উপলক্ষে উদ্যানের একাংশে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। সমাবেশস্থলের মাঠসহ আশপাশের রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানোর কাজও চলছে পুরোদমে। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী সোহেল বলেন, বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কোনোভাবেই আটকে রাখতে পারবে না কেউ। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে হোটেলে হোটেলে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাস বন্ধ করা হয়েছে, থ্রি হুইলার বন্ধ করা হয়েছে, শুনেছি সমাবেশের আগের দিন থেকে বন্ধ থাকবে লঞ্চও। আমাদের নেতাকর্মীরা দরকার হলে কলা গাছের ভেলায় ভেসে আসবেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, পরিবহন সেক্টরগুলোর

নেতৃস্থানীয়রা সবাই সরকারি দলের পদধারী নেতা। তাদের উদ্দেশ্যই তো বিএনপিকে দমন করা।
যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, শোডাউন করে বরিশালে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বেপরোয়া হয়ে গেছেন বিএনপির জনসমর্থন দেখে। আমাদের নেতাকর্মীদের যদি হোটেলে থাকতে দেয়া না হয় সমাবেশস্থলে থাকবেন তারা। লাখ লাখ মানুষ সমাবেশস্থলে সমবেত হবেন।
এদিকে বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর ‘খোঁজখবর’ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। হোটেল মালিকরা বলছেন, নতুন করে বোর্ডার বা অতিথি তোলার ক্ষেত্রে প্রশাসন থেকে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো হোটেল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। হোটেল শামসের ব্যবস্থাপক মানিক হাওলাদার বলেন, ভাড়া যিনি নেবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি তুলে রাখাসহ হালনাগাদ তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, হোটেল তদারকি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরণ করছেন কিনা, বিশেষ করে কোনো অপরাধী হোটেলে অবস্থান নিয়েছে কিনা এসব খোঁজখবর নিতেই হোটেলে যাওয়া হচ্ছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা হোটেলে থাকবেন, সেটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা অভিযান চালিয়েছি কোনো চোর, বাটপার বা ছিনতাইকারী হোটেলে আছে কিনা সেই খোঁজ নিতে।
এদিকে বাস বন্ধের ঘোষণার পর এবার ব?রিশাল-?ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্প?তিবার সকাল থেকে ব?রিশাল নদীবন্দর ও ডি?সি ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ও স্পিডবোট ভোলার উদ্দেশ্যে যাত্রীদের নিয়ে যেমন ছেড়ে যায়?নি। তেমনি ভোলা থেকেও কোনো নৌযান ব?রিশালে আসে?নি। ব?রিশালের লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিক স?মি?তি লঞ্চ বন্ধের কোনো কারণ না জানাতে পারলেও বিএন?পি নেতারা বলছেন, ৫ নভেম্বর ব?রিশালে বিএন?পির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌযানগু?লো বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল-?ভোলা রুটে যাতায়াতকারী নিয়?মিত যাত্রীরা।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে মা?লিক স?মি?তি কিছু না জানালেও বিআইড?ব্লিউ?টিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প?রিদর্শক ক?বির হোসেন জানান, ভোলায় আওলাদ নামক এক?টি লঞ্চে গত বুধবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে শুধু ভোলা রুটে লঞ্চ চলছে না। এদিকে সু?নি?র্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা-ব?রিশাল নৌরুটে যাত্রীবা?হী স্পিড বোট চলাচ?ল বন্ধ করে দিয়েছেন মা?লিকরা। ভোলার স্পিড বোট ঘাটের দা?য়িত্বে থাকা মঞ্জুরুল বলেন, ধর্মঘট ডাকা হয়েছে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তি?নি কোনো কারণ জানাতে পারেন?নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়