বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

ডিজিটাল অ্যাক্টের অপব্যবহার স্বীকার করলেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সব আইনকেই অপব্যবহার করার একটা চেষ্টা থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ অপব্যবহার শুধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৭২ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ পাসের জন্য উপস্থাপনের পর বিরোধী দলের সদস্যদের যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় তাদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, সংসদ সদস্য যিনি প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও বলেছেন যে, এটা প্রয়োজন আছে এবং তিনি একটা কথা বলেছেন এটার অপব্যবহার হয়েছে বা এই আইনটাকে বিরোধী দলকে টার্গেট করেই করা হয়েছে। কথাটা, আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, সত্য নয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে সাইবার ক্রাইম কমব্যাক্ট করার জন্য করা হয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, আমরা জানি, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে, বাকস্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, এটা একটা মৌলিক অধিকার এবং এর পরিপন্থি কোনো আইন হলে সংবিধানেই বলা আছে সে আইনটা কার্যকর হবে না। আমরা এসব জেনে সংবিধানের পরিপন্থি আইন করব, সেটা আমরা করার মতো নয়, আমরা জনগণের সরকার। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার কিছু কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে তা স্বীকার করে তিনি বলেন, হ্যা, সব আইনকেই অপব্যবহার করার একটা চেষ্টা থাকে। কিন্তু আমাদের আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে যখন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হচ্ছে, আমরা কিন্তু সেটা স্বীকার করেছি এবং সেটা শুধরানোর চেষ্টা করছি। আর তারা ২১ বছর একটা হত্যা মামলার এফআইআর করতে দেননি, ইনডেমিনিটি অর্ডিনেন্স করেছেন ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ এ।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, মামলা জটের কথা বলা হয়েছে। মামলা জটে সত্যি আমরা ডুবে আছি। মামলা জট থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। গত ১০ বছর আগে বিচারক ছিল ১২০০ প্লাস। আজ নি¤œ আদালতে ১৯০০-এর বেশি বিচারক রয়েছে। প্রত্যেক বছর ২ বার বিচারক নিয়োগ করি। কোর্টের সংখ্যা বেড়েছে। এসব পদক্ষেপ নিয়ে মামলা জট কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। মামলার সংখ্যা কমে আসছে।
সংসদে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, ডিজিটাল আইনটি বিরোধীদের দমন করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে এখন আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হচ্ছে না। সুশাসন নেই। মিথ্যা সাক্ষ্য ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি আইনমন্ত্রীকে দলমতনির্বিশেষে সবার জন্য আইনের সুষম প্রয়োগের আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়