বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী : বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যার বিচারে অভিশাপমুক্ত হয়েছে দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি না করতে পারতাম তাহলে আজকে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হতো না। এই বিচারের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে পেরেছি। যদি এই বিচার করতে না পারতাম তাহলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও সম্ভব হতো না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অর্ডারে দাঁড়িয়ে জেল হত্যা দিবসে চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ দেশে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ ইনডেমনিটি দিয়ে বন্ধ করে দেয় খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। এরাই কিন্তু দেশের চার নেতাকে জেলে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এসব খুনিকে পুরস্কৃত করে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী তাদের ক্ষমতায় আনে। আর যারা বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে খুন করে তাদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করে, তাদের রাষ্ট্রদূত বানিয়ে বিদেশে পাঠায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবে দেশের সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীর সৈনিকদের হত্যা করেছে, যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার ও হত্যা করেছে, ৩ নভেম্বরের ঘটনাও এসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দেশের বিজয়টাকে তারা সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। আমি কোর্টে বারবার গিয়েছি, কিন্তু ইনডেমনিটি অর্ডার দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। আমি ক্ষমতায় এসে জেলহত্যার বিচার করেছি, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করেছি। কিন্তু সেই খুনিদের কিন্তু বাঁচানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই আসামি খায়রুজ্জামানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজ পাশা বিদেশে মারা যায়, তাকে মৃত অবস্থায় প্রমোশন দেয়, এতে বোঝা যায়, এরা যে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা, মন্ত্রী বানিয়েছে। এইচ এম এরশাদও একই কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল এরশাদ। অথচ ফারুক অবৈধ অস্ত্রসহ এনএসআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিল। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক বড় কথা বলেন। তিনিও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে অনেক বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। রায় কার্যকর করেছে। কিছু খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
পয়েন্ট অব অর্ডারে জেলহত্যা দিবসের ওপর আলোচনায় আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের নীল নকসার আরো একটি জঘন্য ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড। জিয়া-মোশতাক বহু মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছে, তাদের কারো কারো লাশও পরিবার পায়নি।
পয়েন্ট অব অর্ডারে আরো বক্তব্য রাখেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, বেনজির আহমদ, মোছলেম উদ্দীন, নাহিদ ইজহার খান, তানভীর শাকিল, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান প্রমুখ। তবে এতে বিএনপির কোনো সংসদ সদস্য অংশ নেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়