বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

ছাতকের ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা, শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের ছাতকের ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন হারান পাল নামে এক নিয়োগ আবেদনকারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের জন্য শূন্য পদে ২ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে লোক নিয়োগের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। এরপর ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সনদসহ এই পদে অনেক চাকরি প্রত্যাশী আবেদন করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওই দুই পদের জন্য গোপনে খাতা-কলমে নির্দিষ্ট কিছু আবেদনকারীর পরীক্ষা নেয়া হয়। বাকি আবেদনকারীদের পরীক্ষার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এভাবে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
হারান পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কথা জানতে পেরে ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করেছি। ওই নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গেছে। কিন্তু পরীক্ষার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানতে পেরেছি ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা সাজিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে অফিস সহকারী স্ত্রী ও একজন সহকারী শিক্ষিকার বোনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি এই অনিয়মের বিচার চাই। এই নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ হারান পালের এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অনুসন্ধান করলে জানা যায়, ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ওই দুই শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মাত্র ৬জন পরীক্ষার্থী। অথচ কলেজ সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারী ছিলেন ১৫ জনের বেশি। অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আবেদনকারীদের নিরুৎসাহী করা হয়। একই সঙ্গে পরীক্ষার তারিখ না জানানোসহ আরো একাধিক কারণ রয়েছে। তাই পরীক্ষায় উপস্থিতি কম ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কলেজের অফিস সহকারী ফুলচান দাসের স্ত্রী রতœা রানি দাস এবং সহকারী শিক্ষিকা বিউটি দাসের বোন বাবলী দাসকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষা অনেকটাই সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধিমোতাবেকভাবে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের যোগ্যতার বলেই নিয়োগ পেয়েছেন। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আবেদনকারী হারান পালকে কেন পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আবেদনে ত্রæটি ছিল, তাই বাছাই কমিটি তার আবেদন বাতিল করেছেন।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঝিগলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়