বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

আসাদগেট ও মুগদা : সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্বই রাতুল ও রাব্বী খুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর আসাদগেটে গত মঙ্গলবার রাতে মো. রাব্বী ওরফে রাফা (২৪) এবং এর আগের দিন সোমবার রাতে মুগদায় রাকিবুল ইসলাম রাতুল (১৮) হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›দ্ব। দীর্ঘদিনের এই দ্ব›েদ্ব তারা প্রাণ হারান। পৃথক এসব ঘটনায় ৭ জন করে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।
গত মঙ্গলবার ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে পুল পার্টি শেষে ফেরার পথে বাসে গাঁজা সেবন, সিনিয়র গ্রুপের বান্ধবীকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন রাব্বী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। গত বুধবার রাতে হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফারুক, জিতু, জসিম, মোস্তফা, জোবায়ের ওরফে যুবরাজ ওরফে জয়, রাব্বি ও রোমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাব্বী হত্যার মূল অভিযুক্ত ফারুকের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, হাজারীবাগ এলাকার টিকটকার শান্ত স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে গত মঙ্গলবার ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে পুল পার্টির আয়োজন করেন। তাদের আয়োজন ছিল এই মৌসুমের শেষ টিকটকারস পুল পার্টি। এতে শতাধিক টিকটকার অংশ নেন। পুল পার্টি শেষে বাসযোগে ফেরার পথে বাসে গাঁজা সেবন করছিল জুনিয়রদের কয়েকজন। একপর্যায়ে সিনিয়র একজনের বান্ধবীকে ইভটিজিং করে জুনিয়ররা। এ নিয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়র গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আসাদগেটে আসার পর বান্ধবীকে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সিনিয়র গ্রুপের রাব্বী সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে জুনিয়রদের দিকে তেড়ে যায়। এ সময় জুনিয়ররা চাকুটি কেড়ে নিয়ে সেটি দিয়ে রাব্বী ও আরেকজনকে জখম করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পরদিন রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বী মারা যান। জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের কেউ টিকটকের সঙ্গে জড়িত থাকলে সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার মুগদায় মারধর ও ছুরিকাঘাতে নিহত কলেজছাত্র রাকিবুল ইসলাম রাতুলের (১৮) হত্যাকাণ্ডটিও সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মুগদা প্রথম গলিতে সজীব ও হিরার দুটি গ্রুপ রয়েছে। এটিও সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপ। নিহত রাতুল ছিল সজীব গ্রুপের সদস্য।
ঘটনার আগের দিন নিহত রাতুল গ্রুপের সদস্য সজীব ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় হিরা, রবিউলসহ অন্যরা তাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও হাসি-ঠাট্টা করছিল। বিষয়টি সজীব গ্রুপের লোকজন জানতে পারে এবং তারা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরদিন মুগদা থানা পুলিশ দুই গ্রুপকেই থানায় ডাকে। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এরই মধ্যে সন্ধ্যাবেলায় দুই গ্রুপ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে রাতুলকে কুপিয়ে ও বেধড়ক মেরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নারীও জড়িত রয়েছে। ঘটনাটি কিশোর গ্যাং না হলেও সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব ঘটেছিল। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে হিরা, আরাফত হোসেন রাজু, রাকিব, শরীফুন্নেছা, রহিমা বেগম, নাসির ও রবিউল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়