জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

সেতু আছে সড়ক নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে ৬ মাস হলো। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। কেউ কেউ সেতুটি ব্যবহার করছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সেতুর স্বপ্ন পূরণ হলেও লাঘব হচ্ছে না দুর্ভোগ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া ও দৌলতপুরের মধুগাড়ি নদীর ওপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে কফিল এন্ড কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সেতুর কাজ শেষ হলেও শেষ হয়নি জমি অধিগ্রহণ কাজ। এলজিইডির দাবি সংযোগ সড়কের জন্য স্থানীয়দের জমি দান করার কথা ছিল। এদিকে স্থানীয়দের দাবি জমির প্রকৃত মূল্য না দেয়ায় তারা জমি দিচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জমির মালিক জানান, আমাদের আবাদি জমি। এখানে আবাদ করে আমরা সংসার চালাই। ন্যায্যমূল্য না দেয়া পর্যন্ত আমরা জমি দেব না।
এলজিইডি ও জমি মালিকদের এরকম টানাপড়েনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষকে। তাদের জোর দাবি যে কোনোভাবেই হোক সেতুটি যেন চালু হয়। গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নয়ন কুমার বলেন, আমরা প্রতিদিন ৩-৪ বার মাঠে আসি এই সেতু হয়ে। সেতুটি সংযোগ সড়ক না থাকায় লেবারদের বাড়তি টাকা দিয়ে ফসল কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে।
কাজীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য দুই বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন মেহেরপুর-০২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি।
সে সময় জমি দিতে চেয়েছিলেন অনেকেই। এখন জমি না দেয়ায় সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। সংযোগ সড়কের অভাবে ১০ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষকে।
এলজিইডির গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, কাজ শুরুতে জমির মালিকরা সংযোগ সড়কের জন্য জমি দিতে চেয়েছিলেন। ভূমি মূল্য বেশি হওয়ায় তারা এখন দিতে রাজি হচ্ছে না। পিডি স্যারের অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলেই সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়