জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

সিমেড হেলথ-এর গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা : বাংলাদেশে ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে প্রতি বছর রোগী বাড়ছে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করে। এদিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে- খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় স্ট্রোকের রোগী বেশি। এর মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরায় প্রতি হাজারে ৪ জন করে এবং সাতক্ষীরায় ৩ জন করে রোগী মিলেছে। দেশের ৫০টি ইউনিয়নে চলমান এক গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করে এমন তথ্যই মিলেছে। ২০১৯ সালের শেষে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমৃদ্ধি কর্মসূচির সহযোগিতায় সিমেড হেলথ এই গবেষণার কাজটি করছে। এছাড়া ডায়বেটিসসহ অন্যান্য রোগ কোন এলাকায় বেশি তা নিয়েও গবেষণা চলমান আছে প্রতিষ্ঠানটির। গবেষণার এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
‘বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে গতকাল বুধবার সিমেড হেলথ এই আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনায় অংশ নেন সিমেড হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, সিওও মো. আশরাফ দাউদ, ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ মাইনুল এইচ চৌধুরী, হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. এ কে এম নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘হেলথ কেয়ার’ মানেই ডাক্তার আর ওষুধ নয়। ব্যক্তির কর্মপরিবেশ, আয়- এ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। দেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধু রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও সারাবিশ্বে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একজন ব্যক্তি এবং জাতির মোট স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি, খরচ এবং সময়কে কমিয়ে দিতে পারে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে- যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং ব্যয় কমাতে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক যতেœর প্রয়োজনীয়তা, প্রতিটি ব্যক্তির ডিজিটাল স্বাস্থ্য একাউন্ট থাকার গুরুত্ব, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া, দেশের শহর এবং গ্রামাঞ্চলে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি মডেল) প্রয়োগ, কর্পোরেটদের জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার ব্যবসায়িক সম্ভাবনা এবং ডিজিটালভাবে কমিউনিটি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাধারণ ফার্মেসি মালিকদের ভূমিকা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, সিমেড হেলথ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ- যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। এটি ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়