জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখন বৈশ্বিক সমস্যা : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শুধু বাংলাদেশ নয়, মূল্যস্ফীতি এখন বৈশ্বিক সমস্যা বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা নয়, এর কারণ বিশ্ব পরিস্থিতি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলওর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৯ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে গলদঘর্ম মানুষ তার অন্যান্য খরচ কমানোয় বাজারে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে কম। এ কারণে আবার অন্যদের আয় কমে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ তো আমাদের মনে রাখা উচিত। এটা আমাদের বাজারের ব্যর্থতা নয়। আমাদের অর্থনীতি এখন বিশ্বে অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। অন্য বাজারের চাপগুলো আমাদের এখানে এসে গেছে।
মূল্যস্ফীতির এই হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম বলেও দাবি করেন তিনি। এই তুলনামূলক কম হারে বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, আমাদের মতো নি¤œআয়ের দেশের জন্য ভালো মনে করি।
বৈঠকে আইএলওর পক্ষে ছিলেন সংস্থাটির ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) বিশেষজ্ঞ গুঞ্জন দালাকোটি, প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ইগোর বোস, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক অ্যান ড্রং, ও প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার।
আইএলও প্রতিনিধিরা বেতন বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আইএলও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতো মজুরি বাড়িয়ে দিতে হবে, সেভাবে বলেনি। তারা শুধু চা শ্রমিক ও উপকূলীয় জেলেদের মজুরি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা তো স¤প্রতি চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। মজুরি বাড়ানোর কাজ চলছে। সামনের দিকে আরো বাড়ানো হবে।
আইএমএফ বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোকে কারিগরি সহায়তা করতে চেয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, বেতনভাতা সে তুলনায় বাড়েনি। তার মতে, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই।
আইএমএফ এর ঋণ দেশে আসলে অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরবে কিনা, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমার পকেটে ১০০ টাকা আছে কেউ ১০ টাকা ধার দিলে কিছুটা ভালো। আইএমএফ ঋণেও কিছুটা সাময়িক স্বস্তি মিলবে। তবে সরকার অস্বস্তিতে নেই।
সবাই তো বাজারে যায়। বিষয়টা এমন নয় আজকে এক দাম, কালকে হঠাৎ করেই আরেক হলো। এমনি তো কার্তিক মাসে ঘরের চাল কমে যায়। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাসের শুরুতে পকেটে যেমন থাকবে মাসের শেষে ও তেমন থাকবে না নয়। মাসের শেষে পকেটে অভাব থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়