জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী : বিদেশি প্রভুদের উসকানিতে গাছে চড়েছে বিএনপি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের পতন হবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধানকে লঙ্ঘন করে হুমকি দেয় তাদের ১১ ডিসেম্বর থেকে সুযোগ দেয়া হবে না। জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায়, তার যে পরিণতি হবে সেজন্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার সরকার দায়ী থাকবে না।
গতকাল বুধবার বিকেলে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন। সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন সরকার রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
মন্ত্রী বলেন, যে বিদেশি প্রভুদের উসকানিতে আপনারা গাছে চড়েছেন, মই কিন্তু থাকবে না। তাই কথা বার্তা হিসেবে করে বলেন। আমরাও বলে দিতে চাই, যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধানকে লঙ্ঘন করে হুমকি দেয়, ১১ ডিসেম্বর থেকে তাদের সুযোগ দেয়া হবে না। জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায়, তার যে পরিণতি হবে সেজন্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার সরকার দায়ী থাকবে না। আপনারা সংবিধানকে বৃদ্ধাঙুলি দেখাবেন আর আমরা আঙুল চুষব এ কথা মনে করে থাকলে আপনারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করেন, আপনাদের কেউ বাঁধা দেবে না। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিলে পরিণতি ভালো হবে না।
দীর্ঘ ২০ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বাসন থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
এরআগে সম্মেলনকে ঘিরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে এসে ভিড় জমান। কলেজ মাঠ ও আশপাশের সড়ক-মহাসড়কে ব্যানার, ফেস্টন, বিল বোর্ড ও তোরণ দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৩১ জন কাউন্সিলর ও ২০০ জন করে ডেলিগেটসহ মোট ১২শ’ ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নাম ঘোষণার সময় সাধারণ সম্পাদক পদ না পেয়ে রকিব সরকারের সমর্থকরা প্রায় দুই শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করেন এ সময় মানুষ ছোটাছুটি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়