জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে : জেলার উলিপুরের পালের ঘাট এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান পালের ঘাট এলাকা পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত প্রকৃত ঠিকাদার সাজু মিয়ার কাছে অঙ্গীকারনামা নিয়ে জব্দকৃত প্রায় ৫ লাখ সিএফটি বালু জিও টেক্সটাইল ব্যাগে ভর্তি করে নদীতে নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত দিলে বালু সিন্ডিকেট মারমুখী হয়ে ওঠে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিন্ডিকেটের হোতা মইনুলের (বিদেশি) নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি কাশারিয়ার ঘাট এলাকায় স্থানীয় ইদ্রিস আলীর উপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
এ সময় সিন্ডিকেট প্রধান মইনুল তাকে গলা ধাক্কাতে ধাক্কাতে মইনুলের বাড়ির দিকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তখন ইদ্রিসের আর্তচিৎকারে তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়ি থেকে এগিয়ে এলে মইনুলসহ তার সহযোগী নওশাদ, জমসেদ, আনোয়ারুল, মজনু, গিয়াস উদ্দিন, জলিল তাদের কিল ঘুষি ও ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আক্রমণকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা যে কোনো মুহূর্তে সাক্ষী ইদ্রিস আলীর বাড়িঘর ভাঙচুরসহ তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অবৈধভাবে বালু বিক্রির বিষয়টি ইদ্রিস আলী প্রকাশ্যে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সামনে সাক্ষ্য দেয়ায় বালু ব্যবসায়ীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ঘাট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান নদী শাসনের কাজকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে স্থানীয় মইনুলের (বিদেশি) নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালাচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রে জেগে ওঠা ভূমির মালিকরা অবৈধ বালু উত্তোলনে তাদের জমির ক্ষতি হচ্ছে মর্মে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান গত ১২ অক্টোবর ঘটনাস্থল পালের ঘাটে যান এবং বিশাল আকৃতির ৩টি বালুর স্তূপ দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ঠিকাদারের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বালুর প্রকৃত মালিক খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এসব বালু জব্দ করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেন। এসব বালু মইনুল অবৈধভাবে তুলে বিক্রি করছিলেন।
পরে জব্দকৃত বালু নিলাম ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার ঘোষণা দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এরপর থেকে চলতে থাকে বালু ব্যবসায়ীদের নানা নাটকীয় তৎপরতা। দৌড়ঝাঁপ করতে থাকেন প্রভাবশালী মহলসহ বিভিন্ন দপ্তরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়