জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

জাতীয় জাদুঘরে জেলহত্যা দিবস স্মরণ : কলঙ্কময় ঘটনায় জড়িতদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় চার নেতা ছিলেন আপসহীন নেতা, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের সহচর। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শত্রæর সঙ্গে আপষ না করে হাসি মুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। তাদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। এতে তারা হেরে গেছে। ৩ নভেম্বরের মতো ইতিহাসের নির্মম কলঙ্কময় ঘটনায় জড়িতদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘৩ নভেম্বরের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা ও সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। সঞ্চালনা করেন জাতীয় জাদুঘরের শিক্ষা অফিসার সাইদ সামসুল করীম।
কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যা কিছু ঘটেছিল, এর সবকিছু ছিল চক্রান্তের অংশ। জাতীয় চার নেতা ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শত্রæর সঙ্গে আপস না করে হাসি মুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন তারা। এমন বীরের মৃত্যু নেই। তাদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে।
সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরদিন খুনি মোস্তাক সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন খুব শান্ত মানুষ। কিন্তু খুনি মোস্তাকের ফোনে তিনি সেদিন প্রচণ্ড রেগে যান। ‘তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা দিয়ে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করব না’। খুনিদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয় এবং কারাগারের সেলেই গুলি করে হত্যা করা হয়। জেলে থাকার সময় বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাবা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসার কথা দিয়েছিলেন। বাবা কথা রেখেছিলেন। বাবা ফিরে এসেছিলেন নিথর দেহে, ঝাঁঝরা বুকে।
মো. আবুল মনসুর বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। তারা ছিলেন আপসহীন নেতা। বঙ্গবন্ধুর কাছের সহচর। যারা ৯ মাস বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। মূলত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যাকারীরা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা পরিকল্পনা করেছে তাদের খুজে বের করে বিচার করতে হবে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বরের মতো ইতিহাসের নির্মম কলঙ্কময় ঘটনায় জড়িতদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চির অ¤øান থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়