জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

আগের সংবাদ

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে ফের জেলে পাঠানো হবে খালেদাকে

পরের সংবাদ

আমদানি নির্ভরতার কারণেই গ্যাস সংকট তীব্র হয়েছে : অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ক্যাবের জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ¦ালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, দেশীয় গ্যাস খুঁজে বের না করে আমদানি নির্ভরতার কারণেই গ্যাস সংকট তীব্র হয়েছে। যদি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন অব্যাহত রাখা হতো, তাহলে আমদানি কমিয়ে দিয়ে এখন আরো একটু সহনীয় পর্যায়ে থাকা যেত। গত মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা একবার বললেন- দেশ গ্যাসের ওপরে ভাসছে। এরপর ২০১৬ সালে আবার তারা বললেন যে মাটির নিচের গ্যাস ফুরিয়ে আসছে, অল্প সময়ের মধ্যেই গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। তাদের কথা এখনো সত্যি হয়নি। সংকটের আশঙ্কার পরও দেশের সম্ভাব্য স্থানগুলোয় জরিপ ও অনুসন্ধান চালানো হয়নি। পুরনো গ্যাসফিল্ডগুলোয় পুনর্খননের প্রয়োজন ছিল, তা-ও করা হয়নি। উপরন্তু সরকার গ্যাস সংকট কাটানোর কথা বলে উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করল। এতে টাকার অপচয় হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে ২০১০ সাল থেকে দেশের সম্ভাব্য স্থানগুলোয় গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলে, ভোলা থেকে পাওয়া গ্যাসের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারলে আজ এত বেশি গ্যাস সংকট হতো না।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছে দেশের গ্যাস খুঁজে বের করার জন্য জরিপ, অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। কিছু অযোগ্য ও অদক্ষ লোককে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। এখন প্রশ্ন আসে- কেন গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়া হলো না, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো হলো না, কেন এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? এসব প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছেন না। এখন সবাই বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট হচ্ছে।
অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, তিতাসের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কোনোটিরই সমাধানে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এ কারণে সংকট আজ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলে কিছু গ্যাস পাওয়া যেত। এখন যেমন পুরনো কূপ থেকে আরো গ্যাস পাওয়া গেছে। গত ১০ বছরে নতুন কূপ অনুসন্ধান ও খনন শুরু করলে এখন হয়তো আরো কিছু গ্যাস পাওয়া যেত- যা দিয়ে আমরা সংকট কিছুটা হলেও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারতাম।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা থাকার পরও সরকার সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ শুরু করেনি। মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমার গ্যাস উত্তোলন করছে। আমাদের সমুদ্রসীমায় কার্যত এখনো তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কোনো জোরালো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমাদের সরকার গ্যাসের উৎপাদন না বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতায় ঝুঁকে পড়ায় আমরাও এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়