সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ বুধবার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উদ্যোগে দিবসটি দেশব্যাপী পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
মূলত প্রতি বছর ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়। ১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে এবং পরবর্তী সময়ে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে রক্ত এবং কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে কর্নিয়াই প্রধান অবলম্বন।
আর্তমানবতার সেবায় স্বেচ্ছায় রক্ত এবং মরণোত্তর চক্ষুদান একটি মহৎ কাজ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার বাংলাদেশে অনেক মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ববরণ করছে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে একদিকে যেমন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা যায়, তেমনি অন্ধকে দেয়া যায় আলোর দিশা। তাই রক্তদানসহ মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্বেছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃত ‘সন্ধানী’। রক্তদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি মানুষের চক্ষু ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। মৃত্যুর আগে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত চক্ষুদানের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে থাকে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই চক্ষু ব্যবহার করতে পারেন। ১৯৮২ সালে ‘সন্ধানী’ ডোনার ক্লাব এবং ১৯৮৪ সালে সন্ধানী চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজ সেবায় অবদানের জন্য ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়