সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

সালাম মুর্শেদীর বাড়ির নথি দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের খুলনা-৪ আসনের সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর রাজধানীর গুলশানের বাড়ির নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে সেসব নথি দাখিল করতে বলেছেন আদালত। সেই সঙ্গে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ১৩ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত। সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলের অভিযোগ ওঠে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে শুনানিতে আইনজীবী সুমন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সিইএন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে আছেন। এই বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে ৩টি চিঠি দিয়েছিল। চিঠি দেয়ার পরও পরিত্যক্ত বাড়িটি সালাম মুর্শেদী কীভাবে দখল করে আছেন,
রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে সেই ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় গত ৪ জুলাই আরেকটি চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে নামজারি ও দলিল সম্পাদন করার অনুমতি দেয়া হয়, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। অদ্যাবধি এর জবাব পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়