কাগজ প্রতিবেদক : রূপসজ্জা শিল্পের পথিকৃৎ বঙ্গজিৎ দত্ত। বাংলাদেশের রূপসজ্জা শিল্পীদের গুরুখ্যাত এই পথিকৃতের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের রূপসজ্জাশিল্পে উন্মোচিত হয়েছে নবদিগন্ত। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তার ২২তম প্রয়াণ দিবস। স্মৃতিচারণ, রূপসজ্জার কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে বঙ্গজিৎ দত্ত প্রয়াণ দিবস উদযাপন পর্ষদ। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে আয়োজিত হয় এই স্মরণানুষ্ঠান।
আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল নাট্যম রেপার্টরী, মেঘদূত নাট্য সম্প্রদায়, বিবেকানন্দ থিয়েটার। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে বঙ্গজিৎ দত্তের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বরেণ্য সংস্কৃতিজনেরা।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত বঙ্গজিৎ দত্তের বাবা অভিনেতা ও সংগঠক সুরেশ দত্তের নামে প্রবর্তিত সুরেশ দত্ত সম্মাননায় ভূষিত হন ড. ইনামুল
হক (মরণোত্তর) ও বঙ্গজিৎ দত্তের নামে প্রবর্তিত বঙ্গজিৎ দত্ত সম্মাননায় ভূষিত হন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রূপসজ্জাশিল্পী মোহাম্মদ আলী বাবুল।
সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মূকাভিনয় পরিবেশন করেন নিথর মাহবুব।
১৯৩৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার ঠাটারী বাজারে জন্ম বঙ্গজিৎ দত্তের। তার বাবা সুরেশ দত্ত ছিলেন একসময়কার জাঁদরেল অভিনেতা, নির্দেশক, সংগঠক এবং রূপসজ্জা শিল্পী।
বঙ্গজিৎ দত্ত রূপসজ্জায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন নাট্যচক্র সম্মাননা, লোকনাট্য দলের সম্মাননা, বহুরুপী সম্মাননা, চতুরঙ্গ সম্মাননা, নাগরিক-নাট্য সম্প্রদায় সম্মাননা, ঢাকা ড্রামা সম্মাননা, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার-স্বীকৃতি। আমৃত্যু তিনি থিয়েটারের সঙ্গে থেকে রূপসজ্জা শিল্পী হিসেবে বাঁচতে চেয়েছিলেন। তার পুত্র শুভাশীষ দত্ত তন্ময় দাদা ও বাবার আদর্শকে মাথায় নিয়ে একই পেশায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। ২০০০ সালের ১ নভেম্বর রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তার জীবন নাটকের যবনিকাপাত ঘটে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।