সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং প্রকল্প : আরো ৬০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাইনিং বিস্ফোরক সংকটের অবসান হয়েছে। ভারত থেকে ৬০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪টি ট্রাকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের খনি থেকে পাথর ভাঙার কাজে মাইনিং বিস্ফোরকের প্রয়োজন হয়। গত মার্চে বিস্ফোরক দ্রব্যের সংকটের কারণে ১৫ দিন খনির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এরপর আবারো কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে বিস্ফোরক সংকটের কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ৩০ এপ্রিল থেকে পার্বতীপুর উপজেলার এই খনিতে কাজ বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে খনিতে কর্মরত সব স্থানীয় শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হয়। মে মাসে বিস্ফোরক আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। প্রাথমিক আদেশে প্রায় ২২৬ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি করার সিদ্ধান্ত
রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্য গত ১৩ অক্টোবর বেনাপোল বন্দর হয়ে দিনাজপুরের প্রকল্প এলাকায় পৌছলে দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পর আবারো মাইনিং শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় চালানে ৬০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দেশে এসেছে।
এমজিএমসিএলের জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) পিনাক ইকবাল জানান, ভারত থেকে সড়ক পথে বিস্ফোরক আসার পর খনিতে ১৩ অক্টোবর কাজ শুরু হয়। তখন স্থানীয় ৬৫০ জন খনি শ্রমিক কাজে যোগ দেন। জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত থেকে বিস্ফোরক আমদানি করা হয়। এখন মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে ৬০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্যের দ্বিতীয় চালানটি যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে চারটি ট্রাকে আমদানি করা হয়েছে। ভারতের নাগপুর থেকে এ বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। কাগজপত্রে খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে বিস্ফোরক দ্রব্য স্থানান্তর করে দিনাজপুর প্রকল্প এলাকায় নিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়