সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল : ডিজাইন লঙ্ঘন করে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে সরকারি টাকায় নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল ডিজাইন অনুযায়ী হয়নি। ম্যুরালে শুধু বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি থাকার কথা থাকলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা ওঠায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, ম্যুরালটি ভেঙে ডিজাইন অনুযায়ী করা হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খানের চলতি বছরের ২৩ জুন দেয়া চিঠিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধর্মপাশার মেসার্স রানা ট্রেডার্সকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা চুক্তিমূল্যে ৩০ দিনের মধ্যে মধ্যনগর ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ম্যুরাল নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেন। ওই ম্যুরালের ডিজাইনে একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেকপাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। সেখানে কোনো অনুমতি ছাড়াই সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকা থেকে ডিজাইন ব্যত্যয়ের ছবি তুলে একাধিক গণমাধ্যম কর্মীর কাছে পাঠান স্থানীয়রা।
রানা ট্রেডার্সের পরিচালক মো. ইজাজুর রহমান রানার কাছে ডিজাইন পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাজটি করিনি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমার লাইসেন্সটি নিয়ে চুন্নু মিয়া নামের ধর্মপাশার একজনকে দিয়ে কাজটি করিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুন্ন মিয়া বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ম্যুরালের ডিজাইন পরিবর্তন হয়েছে। নেত্রকোনার আরো অনেক উপজেলায় এভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনও ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির হাসান বলেন, এই বিষয়টি আমি জানি না। এভাবে সরকারি টাকায় নির্মিত ম্যুরালের ডিজাইন পরিবর্তন করা যায় না। এটি এডিপির বরাদ্দে প্রায় ১০ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। এই ডিজাইন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের করা। এটি পরিবর্তন করতে হলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ডিজাইন পরিবর্তনের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। ওখান থেকে অনুমতি পাওয়া গেলেই কেবল ডিজাইন পরিবর্তন করা যায়। আমি বুধবারই ঠিকাদারকে ডিজাইন মোতাবেক ম্যুরাল নির্মাণ করে দেয়ার জন্য চিঠি পাঠাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়