সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

ধানমন্ডিতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যায় ছিনতাইকারীর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ঢাকার ধানমন্ডি লেকের ধারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদার খুনে জড়িত অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদ রাব্বী (১৮) নামে ওই তরুণ পেশাদার ছিনতাইকারী বলে পুলিশের ভাষ্য।
তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া। গত ২৩ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি লেকের পাড় থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাতের (৫১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকার কলাবাগান এলাকায় বাসা তার। সমুদ্রগামী জাহাজে কর্মরত শাহাদাত কয়েক মাস আগে বাসায় এসেছিলেন।
সন্ধ্যার পর শাহাদাত লেকপাড়ে হাঁটাহাঁটি করতেন জানিয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ সেদিন বলেছিলেন, তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন বলেই তাদের ধারণা। শাহাদাতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম বলেন, সোমবার রাতে কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ সড়ক থেকে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার এ তরুণ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রাব্বীর জড়িত থাকার প্রমাণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার রাতের ভিডিও ফুটেজে শাহাদাতের আশপাশে রাব্বীকে দেখা গেছে। তার সঙ্গে আরো চার-পাঁচজন ছিল। রাব্বী প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাতের ফোন ছিনিয়ে নিতে টানাটানি করে। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে দলের আরেকজন এসে শাহাদাতকে ছুরিকাঘাত করে। তখন তিনি পড়ে গেলে রাব্বী তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে দৌঁড় দেয়। এ দলে রাব্বী মূল ব্যক্তি নন বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, ছিনতাইকৃত মালামাল সংরক্ষণ ও বিক্রি এবং কাউকে টার্গেট করলে সে ব্যক্তিকে ফলো করা ছিল রাব্বীর কাজ। রাব্বী একেবারে পেশাদার ছিনতাইকারী। কিন্তু দেখতে বয়স কম মনে হয়। সে সুযোগটি সে সমসময় নেয়। পুলিশ ধরলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে সে। সে যাদের নাম বলেছে, তারা তার ‘সিনিয়র’। দলের অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি। শাহাদাতের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া কিছু এখনো পাওয়া যায়নি।
ওসি বলেন, নিহত ইঞ্জিনিয়ারের মানিব্যাগে বেশি টাকা ছিল না, দুই হাজারের মতো টাকা ছিল। আর তার ক্রেডিট কার্ডটি ছিল। তার মানিব্যাগ ও মোবাইলটি উদ্ধার হয়নি। রাব্বী বলেছে, মোবাইলটি তারা বিক্রি করে দিয়েছে। তার তথ্য মোতাবেক সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়