সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে পাঁচ গুণ। করোনার প্রকোপ কমে এলেও নগরবাসীর জন্য ডেঙ্গু নতুন আতঙ্কের নাম। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ১৮শ জন। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে দাবি নগরবাসীর।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলায় অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪০ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কেবল অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯২৪ জন। যা চলতি মাসের মোট সংক্রমণের ৭২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল ১১৪ জনের। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০১ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৬ জন চট্টগ্রাম নগর এলাকার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের শেষ দশ দিনে পাঁচজন এবং অক্টোবরে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয় ৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে ৪ জন, মার্চে ১ জন, এপ্রিলে ৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। মে মাসে এ রোগে কেউ আক্রান্ত না হলেও জুন মাস থেকে আবারো বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা। ওই মাসে আক্রান্ত হন ১৯ জন। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ক্রমশ বাড়তে থাকে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এ রোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া নগরের হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরো যতœবান হওয়া জরুরি। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টাঙাতে হবে। পাশাপাশি কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মশক নিধনে সিটি করপোরেশনে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই অভিযোগ করে নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন শুধু রাত বা সন্ধ্যা নয়, দিনের বেলাতেও মশার উৎপাতে থাকা যায় না। মশার উৎপাত এতই বেড়েছে যে মশারি ছাড়া থাকা যায় না। আগে সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও গত কয়ক বছর ধরে এমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগও অনেক কমে গেছে। জনপ্রতিনিধিরাও যেন নির্বিকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়