স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

সন্দেহভাজনের সংখ্যা কয়েকশ : এবার বাধ্যতামূলক অবসরে ৩ আমলা ২ পুলিশ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রশাসন ও পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকার এবং বাহিনীর গোপন তথ্য পাচার ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের অভিযোগের তদন্ত চলছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। আবার দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে অনেক কর্মকর্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য। সব মিলিয়ে সন্দেহভাজন এমন কর্মকর্তার সংখ্যা কয়েকশ। এ অবস্থায় তিন যুগ্ম সচিব ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে গতকাল সোমবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত তিন যুগ্ম সচিব হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর আলম, মো. মনজুর রহমান ভূঁইয়া ও স্বপন কুমার ঘোষ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীন আরা বেগম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের এক বছরের অবসরোত্তর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে অবসরে পাঠানো দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম এবং সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের দুই কর্মকর্তাকে চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তিন যুগ্ম সচিবেরর ব্যাপারেও একই আইনের কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর তথ্য সচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠায় সরকার। এর দুদিন পর ১৮ অক্টোবর তিন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন- সিআইডির পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী, পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া ও শহিদুল্লাহ চৌধুরী।
জানা গেছে, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের তিনটি ব্যাচের অন্তত ৯০ জন কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের ১৫তম ব্যাচের ৩৩ জন কর্মকর্তা রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণে নানা সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। তারাই এখন মূলত সরকারের অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে পারেন বলে প্রশাসনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ধারাবাহিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে

অবসরে পাঠানো হলে পুলিশের ক্ষেত্রে এই হিসাব ২৭তম ব্যাচ পর্যন্ত যেতে পারে বলে গুঞ্জন আছে। কারণ এই ব্যাচের কর্মকর্তারা এখন মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে ক্ষেত্রে ২৭তম ব্যাচ পর্যন্ত ধরলে পুলিশে বঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২২৫ জনের মতো। কিন্তু এত কর্মকর্তাকে একসঙ্গে অবসরে পাঠানো সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু ভাবছে সরকার। আবার প্রশাসন ক্যাডারে জেলা প্রশাসক পদ বিবেচনায় নিলে ২৪তম ব্যাচের পর্যন্ত যারা বঞ্চিত হয়ে আছেন, তারাও ঝুঁকির হিসাবে যুক্ত হবেন। এই হিসাবে ঝুঁকিতে থাকবেন আরো তিনশর বেশি কর্মকর্তা। প্রশাসনের এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে হয়তো অবসরে পাঠাবে না সরকার। কিন্তু অবসরের চলমান প্রক্রিয়ার কারণে এসব কর্মকর্তা আতঙ্কে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়