স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

যমুনা সার কারখানা : আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে। এ সময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষ থেকে ময়নাল ও জামাল নামে ২ জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের বাড়ি ও স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিককে প্রধান আসামি করে ১২০ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক বলেন, রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হানকে কান্দারপাড়া বাস স্টেশন এলাকায় কে বা কারা মারধর করে। বিষয়টি আমি জানতাম না। এই বিষয়কে ইস্যু করে ও আমার লোকজনের উপর দায় চাপিয়ে রফিকুল ইসলামের লোকজন উত্তেজিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যান মানিকের লোকজন কান্দারপাড়া বাজারে আমাদের সমর্থক রায়হানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যাই। তদন্ত কেন্দ্রে থাকা অবস্থায়ই তারা মিছিল নিয়ে আমার লোকদের উপর হামলা চালায়। পরে চরপাড়া এলাকায় আমার সমর্থক মিনহাজকে কুপিয়ে জখম করে ও তিতাস মোড়ে রফিক নামে আরেক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে পা ভেঙে দিয়ে মিছিল নিয়ে আমার ঠিকাদারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১২০ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়