স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা : সাইবার হামলা মোকাবিলায় আরো সতর্ক হতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রযুক্তির দ্রুত স¤প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে সাইবার অ্যাটাক বাড়ছে। ওত পেতে রয়েছে সাইবার অপরাধীরা। তাই সাইবার হামলা মোকাবিলায় তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের আরো বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের উদ্যোগে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ-টিএমজিবির সহযোগিতায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ গুরুত্বারোপ করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী প্রথম ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভা করেছেন এবং সেখানে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, কীভাবে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে উক্ত সভায়। এছাড়া, কালিয়াকৈরে একটা ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির কার্যালয় হবে সেখানে কীভাবে কাজ করা হবে সে বিষয়েও প্রাধান্য পেয়েছে আলোচনায়। তিনি বলেন, একটা সমন্বিত ফোর্স বা শক্তি তৈরি করা যারা এই সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে কাজ করবে সে বিষয়ে নির্দেশনাগুলো আমরা ইতোমধ্যে পেয়ে গিয়েছি। আমরা পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
সিনিয়র সচিব আরো বলেন, আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলোও এখন নিরাপদ নয়। সব সময় সাইবার অপরাধীরা ওত পেতে থাকে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমেই কেউ ইন্টারনেটে বাইরের হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। তিনি বলেন, সবার সাবধানতা এবং সচেতনতাই পারে নিরাপদ সাইবার পরিবেশ তৈরি করতে। এই কারণেই আমাদের সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আমীন। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই ক্রমবর্ধমান উন্নতি, প্রচার, প্রসার ও ব্যবহারের যুগে মানুষের কাছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং সেবা পৌঁছে দেয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদে ব্যবহার করা অতি জরুরি।
টিএমজিবির সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মোহাম্মদ খায়রুল আমীন, টিএমজিবির সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ এবং নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কনসালটেন্ট জহিরুল ইসলাম খান। প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ৫০ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়