সিলেট অফিস : সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে দুই দিনের এই ধর্মঘট গতকাল সোমবার সকালে শুরু হয়। এদিন সকাল থেকে জেলার কোনো স্থান থেকে ট্রাক, ট্যাংক লরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি। ধর্মঘটের ফলে ট্রাক টার্মিনালসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে পণ্যবাহী হাজার হাজার ট্রাক।
কর্মসূচি পালনে গতকাল সকালে নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মিছিল করেন শ্রমিকরা। বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাকা দেবেন তারা।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে বছরের পর বছর ধরে সারাদেশে পাথর সরবরাহ করা হচ্ছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ বৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
কিন্তু প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত, বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সংকটে। ব্যবসায় পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব।
অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছিলেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে গত রবিবার বিকাল ৪টায় বৈঠকে বসেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হলেও সিদ্ধান্তে অটল থাকেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।