স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

নোয়াখালী : সচেতনতার স্টিকার দিয়ে চাঁদাবাজি ট্রাফিক পুলিশের

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাজমুল হক, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) থেকে : সোনাইমুড়ীতে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন স্টিকার দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ট্রাফিক পয়েন্টে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স নিয়মিত এসব চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই চাঁদাবাজির শিকার সোনাইমুড়ী শহর ও বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজি শ্রমিকরা। সিএনজি অটোরিকশা ছাড়াও ছোট ছোট ট্রাক, নসিমনসহ বিভিন্ন পরিবহনে এই টোকেন বাণিজ্য চলে। এসব বিষয়ে কথা হলে দায় অস্বীকার করেন ট্রাফিক পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টরা।
সোনাইমুড়ী থেকে জেলা শহর মাইজদি বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনী ও চাটখিল উপজেলা অভিমুখী সিএনজিগুলোর সামনের গøাসে তাকালে দেখা যায় প্রত্যেকটি গাড়িতে সাটানো রয়েছে জনসচেতনতামূলক ছোট ছোট স্টিকার। এসব স্টিকারে লেখা রয়েছে, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, নিয়মিত মাস্ক পরুন নিরাপদ থাকুন, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল করিবেন না, আমার টাকায় আমার সেতু পদ্মা সেতু, একটি সড়ক দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। এসব স্টিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে সিএনজি শ্রমিকরা মুখ খুলতে চায়না। পরিচয় রাখার শর্তে চৌমুহনি-সোনাইমুড়ী সড়কে চলাচলকারী সিএনজি শ্রমিক বাবুল বলেন, জেলায় ট্রাফিক পুলিশ লাগামহীন চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সিএনজি রাস্তায় নামালে প্রথমে নোয়াখালী জেলা ট্রাফিক পরিদর্শককে (টিআইকে) ৩-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এরপর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় আরেক দফা অন্তর্ভুক্তি। এরপর সোনাইমুড়ী ট্রাফিক পয়েন্টে মাসে দিতে হয় ৩০০ টাকা। প্রতি মাসে তারা টাকা নেয়ার পরে নতুন করে স্টিকার সাটিয়ে দেয়। এভাবে বছর শেষে আবার নতুনভাবে টাকা দিয়ে শুরু করতে হয়। এছাড়াও রয়েছে মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতি পৌরসভার টোল। এভাবে শ্রমিকদের শোষণ করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয় শুধু সিএনজি থেকে।
সড়কের শৃস্খলা বজায় রাখতে সোনাইমুড়ী বাইপাসে একটি ট্রাফিক পয়েন্ট করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক একজন ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকার কথা থাকলেও কোনোদিন দায়িত্ব পালনে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। সিএনজি শ্রমিকদের অভিযোগ, একজন পুলিশ সদস্য মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়েক দিন বাজারের প্রধান সড়কে ডিউটি করে উধাও হয়ে যায়। সোনাইমুড়ী চাটখিলে একজন ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) নিয়মিত থাকার কথা থাকলেও কর্তব্যরত পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান সপ্তাহে ২/৩ দিন কিছু সময়ের জন্য এসে বাইপাসে নির্জন স্থানে বসে সিএনজি সংশ্লিষ্ট সোর্সদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে চলে যায়।
এ বিষয়ে কথা হলে ট্রাফিক পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, আমি মূলত পুলিশ লাইনসের রেশন বিতরণ শাখায় কর্মরত আছি। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এখানে ডিউটি করি। আমি কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনে জড়িত নই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়