স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট : অনলাইনে ব্লক করে কালোবাজারে বিক্রি হতো রেলটিকেট

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রেজাউল করিম ছিলেন রেলওয়ের অনলাইন টিকেট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। এই সুযোগ ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে রেলের টিকেট ব্লক করে পরবর্তীতে যাত্রীদের কাছে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক দামে বিক্রি করতেন। তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা মেলায় রেলের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ‘হোতা’ রেজাউল করিম রেজা ও তার সহযোগী মো. এমরানুল হক সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। স¤প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক ফ ম শাহ জাহান আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল সোমবার আদালতে রেলওয়ে থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে বিষয়টি জানা যায়।
চার্জশিটে বলা হয়, সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম গত ৬ বছর ধরে কমলাপুর রেল স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ট্রেনের টিকেট বিক্রয় সংক্রান্ত কথোপকথনের মাধ্যমে টিকেট বিক্রয় করেছিলেন। তাছাড়া তিনি অবৈধ উপায়ে টিকেট ব্লক করে পরবর্তীতে যাত্রীদের কাছে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক দামে বিক্রয় করতেন। আসামি রেজাউল করিম তার সহযোগী সম্রাটের কাছে এসব টিকেট সরবরাহ করতেন। পরে সম্রাট এসব টিকেট নিজে ও তার অজ্ঞাত সহযোগীদের দিয়ে অধিক মূল্যে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রয় করতেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় আসামি সোহানসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকেটের বিপুল চাহিদা থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। ঈদের সময় সকালে টিকেট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যেত। এমন অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আসামি রেজাউল করিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল র‌্যাব-১ এর নায়েবে সুবেদার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। তবে আসামিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়