স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

তাহিরপুর সীমান্ত : পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা কয়লার নিলাম স্থগিত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার সীমান্ত ছড়া দিয়ে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে পানির সঙ্গে ভেসে আসা ৫ হাজার ৮শ টন কয়লার নিলাম স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং ২৮ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলা কয়লা নিলাম কমিটির এক সভায় তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি (কলাগাঁও ছড়ার পশ্চিম পাশ পর্যন্ত), কলাগাঁও ছড়ার পূর্বপাশ থেকে সমগ্র কলাগাঁও এবং বাঁশতলা এলাকায় স্তূপিকৃত ৫ হাজার ৮শ টন কয়লা নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। ওইদিনই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক আইডি থেকে ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টায় কয়লা নিলামের বিষয়টি প্রচার করা হয়। এতে সীমান্ত এলাকার হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে দেখা দেয় চরম ক্ষোভ ও হতাশা। এ নিলাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দেখা দেয়। এদিকে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট কয়লা নিলামে ক্রয়ের জন্য গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকেই উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্ত সংলগ্ন বাংলোতে জড়ো হতে শুরু করে। এ সময় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবিরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়েছিলেন নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য।
এদিকে সকাল সোয়া ১০টায় হঠাৎ করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আপাতত নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলার জঙ্গলবাড়ি এলাকার ভেসে আসা কয়লা কুড়ানো মহিলা ৪ সন্তানের জননী হাজেরা খাতুন (৪২) এ প্রতিবেদককে জানান, গত কয়েক মাস রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কখনো সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দৌড় খেয়ে একটু একটু করে ছড়া থেকে কোনাজাল দিয়ে কয়লা উত্তোলন করে পানি দিয়ে ধুয়ে স্তূপ করে রেখেছি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য। যখন লোকমুখে শুনলাম সেই কয়লা নিলামে বিক্রি হবে তখন বুক ফেটে কান্না আসছিল।
কলাগাঁও এলাকার কয়লা উত্তোলনকারী শ্রমিক ৫ সন্তানের জনক ইদ্রিস আলী বলেন, সকালে মনে অনেক কষ্ট নিয়ে নিলাম স্থলে গিয়ে দেখি শত শত লোক জড়ো হয়ে আছে। তখন চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। হঠাৎ করে যখন শুনলাম নিলাম স্থগিত হয়েছে তখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির ভোরের কাগজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আপাতত নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়