স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

গঙ্গা-যমুনা উৎসব : ভাঙল সংস্কৃতির মিলনমেলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুপুরে বেখেয়ালি সূর্যটি ছিল বেশ তেজি। রোদের তীব্রতায় সবুজ ঘাসের ডগাও অনেকটাই নেতিয়ে পরেছিল। বিকেল গড়াতেই শুরু হয় কার্তিকের ঠাণ্ডা বাতাসের কানাকানি। ওই সময় মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ও। সেই সঙ্গে মিলনায়তন থেকে ভেসে আসছে গানের সুরধনি, আবৃত্তির স্বর। মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসে দলে দলে আড্ডা দিচ্ছিলেন তরুণ-তরুণী আর মধ্য বয়সিরাও। কোনো আড্ডায় চলছে গান, কোনো আড্ডায় কবিতা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে ধীরে ধীরে লোকারণ্যে পরিণত হয় শিল্পকলার মূল মাঠ থেকে শুরু করে নন্দন মঞ্চের চারপাশও। কেউ এসেছেন নাটক দেখতে, কেউবা গান শুনতে। আর কেউ কেউ জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত স্থানে বসে উপভোগ করছিলেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী আয়োজন।
গতকাল সোমবার প্রতিদিনের চাইতে মুক্তমঞ্চের সমাপনী সন্ধ্যাটিও ছিল অন্যরকম জমজমাট। এদিন তারুণ্যের উপস্থিতি ছিল অন্যদিনের চাইতে অপেক্ষাকৃত বেশিই। যা আশা জাগানিয়াই বটে। মুক্তমঞ্চে পরিবেশিত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাউল শিল্পীদের পরিবেশনা।
সন্ধ্যায় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনের অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চভাস্কর এর গীতিআলেখ্য ‘বাংলাদেশ, রক্তে ভেজা নাম’, স্বনন-এর আবৃত্তি প্রযোজনা ‘যুদ্ধ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ’।
একই সময়ে চার মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় চার নাটক। নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে লোক নাট্যদলের (সিদ্ধেশ্বরী) প্রযোজনা ‘তপস্বী ও তরঙ্গীণী’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাট্যকেন্দ্র এর নাটক ‘পুণ্যাহ’, স্টুডিও থিয়েটার হলে এথিক এর প্রযোজনা ‘রাজদ্রোহী’ এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় সিলেটের নাট্যদল কথাকলির প্রযোজনা চে’র সাইকেল।
এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হয় ১১ দিনব্যাপী গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২- এর সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি অভিনয়শিল্পী ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি নৃত্যশিল্পী মিনু হক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, নাট্যজন আহম্মেদ গিয়াস, সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট, নৃত্যজন শেখ মাহফুজুর রহমান। ধন্যবাদ জানান গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ-এর সদস্য সচিব নাট্যজন আকতারুজ্জামান।
উল্লেখ্য এবারের গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ ভারতের চার হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণে ভারতের ৪টি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনী এবং সংগীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তনে ১৮টি সংগীত আবৃত্তি ও নৃত্যদল ও উন্মুক্ত মঞ্চে ৯টি পথনাটক, ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন, ১২টি সংগীত সংগঠন, ৭টি নৃত্য সংগঠন, ১০টি শিশুদল এবং একক আবৃত্তি ও একক সংগীত পরিবেশনা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ১১১টি দল অংশগ্রহণ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়