জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) থেকে : ভৌগোলিক অবস্থান আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের মানচিত্রের প্রথম স্থান তেঁতুলিয়া উপজেলা। এ জেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক মহারাজার দীঘি, মুঘল আমলে নির্মিত মির্জাপুর শাহী মসজিদ, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রকস মিউজিয়াম আর সমতলে চা বাগান। এছাড়াও রয়েছে নেপালের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত দেখার সুযোগ। কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈস্বর্গিক রূপবৈচিত্রে?্যর কারণে পঞ্চগড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
দেশের সর্ব উত্তরের প্রবেশ দ্বার তেঁতুলিয়া। ভৌগলিক বৈশিষ্টে?্যর কারণে জেলার ঋতু বৈচিত্র্যও ভিন্ন রকম। অক্টোবরের শেষ সময় থেকে মার্চ পর্যন্ত হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা উপজেলা। একই কারণে দীর্ঘসময় শীতল আবহওয়া বিরাজ করে গোটা জেলায়। দেশের একমাত্র সমতল ভূমিতে চা চাষ আর ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থাপত্য শিল্প দেখতে এ সময়টাতে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে। সূর্যের আলোর সঙ্গে শ্বেত শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা বলছেন, দেশের ভেতরেই নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত চমৎকার তা কখনো কল্পনাও করা যায় না। পুরোনো স্থাপত্য শিল্পের সঙ্গে চায়ের সবুজ প্রকৃতি তাদের মুগ্ধ করছে। পর্যটকদের আবাসিক সুবিধাসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে পর্যটন খাত লাভজনক হতে পারে। টুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মেঘ বা কুয়াশামুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর রূপ স্পষ্ট দেখা যায়। এবার সেপ্টেম্বরে অল্প সময়ের জন্য মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়েছিল। তবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা তার স্বমহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেখা দিচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার থাকা সাপেক্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা তার রূপলাবণ্য পর্যটকদের জন্য মেলে ধরবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা, আবাসিক সুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে সেবা নিশ্চত করছে উপজেলা প্রশাসন।