কাগজ প্রতিবেদক : আইসিসির নারী বিভাগের ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সেরা তিন ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশি অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার সঙ্গে নারী বিভাগের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় দুই ব্যাটার হারমানপ্রীত কর ও স্মৃতি মান্দানার। তারা দুজনই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন। জ্যোতির মতো হারমান ও স্মৃতিও প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগে সবশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলেন জ্যোতি।
সেপ্টেম্বর মাসের সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জ্যোতির জায়গা পাওয়ার পর আইসিসি জানিয়েছে, নিগারের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। অধিনায়কত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতেও নিগার টেনেছেন দলকে। হয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। নকআউট পর্বে ব্যাট হাতে জ্বলে না ওঠলেও তিনি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে পাঁচ ম্যাচে ১৮০ রান করেছেন, ৪৫ গড় এবং ১০৫.২৬ স্ট্রাইক-রেটে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৭ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে দারুণ জয় এনে দেন তিনি। এদিকে পুরুষ ক্রিকেটে সেপ্টেম্বর মাসে ভালো খেলার স্বীকৃতি হিসেবে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন, ভারতের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ও পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
গত মাসে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও হেসেছে রিজওয়ানের ব্যাট। গত মাসে ১০ টি-টোয়েন্টি খেলে ৭টি ফিফটি করেন পাকিস্তান কিপার-ব্যাটসম্যান। এশিয়া কাপে ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২৮১ রান করেন তিনি। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭টি টি-টোয়েন্টির পাঁচটি হয় গত মাসে। যেখানে চার ম্যাচেই ফিফটি করেন রিজওয়ান। ৪-৩ ব্যবধানে দল সিরিজ হারলেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ৬৩.২০ গড় ও ১৩৮.৬০ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ৩১৬। অন্যদিকে গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ও ভারত সফরে ব্যাটে-বলে আলো ছড়ান অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। কিউইদের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডেতে রান তাড়ায় ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে দুই উইকেটের জয় এনে দেন গ্রিন, খেলেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। পরের ম্যাচে ১২ বলে ২৫ রানের সঙ্গে নেন দুই উইকেট। অন্যদিকে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাটসম্যানদের রাজত্বের মাঝে দুর্দান্ত বোলিং করেন। বাঁহাতি স্পিনে ওভার প্রতি ৬.৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নেন তিনি।
সিরিজ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি- টোয়েন্টি মাঠে গড়ায় গত মাসে। ওই ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেন তিনি। ১৬ রান খরচায় নেন এক উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।