মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : ফরহাদকে সরানো হচ্ছে, মুস্তাফিজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আগের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

পরের সংবাদ

শতাধিক যানবাহন আটকা : পাহাড় ধসের ৮ ঘণ্টা পর সাজেকে যান চলাচল শুরু

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের নন্দারাম এলাকায় অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির সদস্যরা মাটি সরানোর কাজ শুরু করলে প্রায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে অতি বৃষ্টির কারণে রাতে বা ভোরে যে কোনো সময় সাজেকে যাওয়ার পথে শুকনা নন্দ রামপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর একটি পাহাড় ধসে পড়ে। যার কারণে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সাজেকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সকালে সাজেকে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটে কয়েক হাজার পর্যটকবাহী বহু যানবাহন আটকা পড়ে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, সোমবার রাতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সাজেকে যাওয়ার পথে শুকনা নন্দরাম পাড়া এলাকায় রাস্তার উপর একটি পাহাড়ের বেশ বড় অংশ ধসে পড়ে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সেখানে কোনো বসতি না থাকায় ঠিক কখন পাহাড় ধসে পড়েছে তা জানা যায়নি।
সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরী লুসাই বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী ও বৌদ্ধদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে টানা ৯ দিন সরকারি ছুটির কারণে সাজেকে শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। এরই মধ্যে সাজেকে ধারণ ক্ষমতার ৪ গুণ পর্যটক অবস্থান করছে। রিসোর্টে জায়গা না পেয়ে অনেকে খোলা তাঁবুতে অবস্থান করছেন।
মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে জায়গাটি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটকরা ছুটে আসেন। তবে পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পাড়ে কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। এর ফলে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন,?

আমরা সকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ২০০ গাড়ি রয়েছে, যা মঙ্গলবার এসেছিল। গতকাল সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়েন। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ রয়েছে। সবমিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়