মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : ফরহাদকে সরানো হচ্ছে, মুস্তাফিজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আগের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজারে আইপিওতে আসছে ডিএসই

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই। এ লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের নিয়ম অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। তার জন্য আমরা কাজ করছি।
আইপিওতে আসতে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আলোচনা করব।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সেলফ লিস্টিং আইনের খসড়াও কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালের ধসের পর সরকার ঘোষিত তদন্ত কমিটিতে সুপারিশ করা হয়। স্টক এক্সচেঞ্জকে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে হবে। পুঁজিবাজারকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড করতে হবে। তার আলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়েছে। সেই নিয়ম অনুসারে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ৩৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়।
পরে ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়। এরপর নিজ প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্তির বিষয়ে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন, ২০২২ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক কাওসার আলী এবং যুগ্ম পরিচালক জহিরুল হক। কমিটির জমা দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মতামতের ভিত্তিতে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন প্রণয়নের কাজ চলছে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনা থেকে ব্রোকারদের প্রভাব কমাতে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন করে বিএসইসি। ওই আইন ২০১৩ সালে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ মুনাফাকেন্দ্রিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর হয়। সেসময় ডিএসইর পুরো সম্পদের ভিত্তিতে (১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রায় ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার সৃষ্টি করা হয়। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ২০১৮ সালে ডিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রি করেছে।
৩৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ৩৫ শতাংশ হিসেবে ডিএসইতে মোট ৬৩ কোটি ১৩ লাখ শেয়ার সংরক্ষিত আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়