মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : ফরহাদকে সরানো হচ্ছে, মুস্তাফিজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আগের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

পরের সংবাদ

অভিযোগেও মিলছে না প্রতিকার : কালীগঞ্জে অবরুদ্ধ ১২ পরিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের কলুন গ্রামে পূর্ব শত্রæতার জেরে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী ১২টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। যে কারণে ওই ১২টি পরিবার এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে দিন কাটাচ্ছে।
গতকাল বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী কলুন গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে ইব্রাহীম ভূঁইয়া (৩৮)। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আমজাদ ভূঁইয়ার ছেলে আলোক ভূঁইয়া (৫৫), ফরিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ভূঁইয়া (২৭) ও মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে কাশেম ভূঁইয়া (৫৮)।
ভুক্তভোগী ইব্রাহীম ভূঁইয়া জানান, পূর্ব শত্রæতার জেরে অভিযুক্তরা গেল ১০ আগস্ট আমার পরিবারসহ আরো ১২টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। ৩০/৩৫ বছর যাবত চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তাটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় ওই ১২টি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। অনেক কষ্টে অন্যের বাড়ির উঠোন বা বারান্দা দিয়ে চলাচল করতে হয়। কষ্ট করে এভাবে শিশু, মুরব্বি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা চলাচল করেন। অন্যের বাড়ির উঠোন বা বারান্দা দিয়ে শিশুরা স্কুলে ও মুরব্বিরা মসজিদে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের স্মরণাপন্ন হলে তারা সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করলেও অভিযুক্তরা আর ওই রাস্তা উন্মুক্ত করেনি। পরে গেল ১৫ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কালীগঞ্জ থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেও রাস্তার ব্যাপারে কোনো প্রতিকার পাননি।
ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সারোয়ার জানান, চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা করে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে শুনি তারা আর সালিশ মীমাংসার কথা মানেনি।
বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক জানান, বিষয়টির ব্যাপারে আমি গিয়ে বলে এসেছিলাম। পরে শুনেছি তারা আর রাস্তা দেয়নি। এ ব্যাপারে থানার ওসিও আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। ওসি ঘটনাস্থলে আসবেন। তিনি আসলে আবার গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করব।
ওসি মো. আনিসুর রহমার জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং দুপক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করব। ইউএনও মো. আসসাদিকজামান জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা দুপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আবারো মীমাংসার চেষ্টা করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়