সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

জাতীয় গ্রিড আধুনিকায়নে এবার গুরুত্ব দিন

পরের সংবাদ

পূজা ও ভোট ডিউটিতে সিন্ডিকেট তৈরি : পীরগাছায় আনসার নিয়োগে লক্ষাধিক টাকার বাণিজ্য

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি : পীরগাছায় দুর্গাপূজার ডিউটিতে আনসার নিয়োগে লক্ষাধিক টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে উপজেলা ভিডিপি কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক আলী আজমের বিরুদ্ধে। উপজেলার ৭৯টি দুর্গাপূজার নিরাপত্তার জন্য জেলা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নামমাত্র যাচাই-বাছাই করে ২৩৭ জন পুরুষ ও মহিলা আনসার বাছাই করা হলেও তিন ইউনিয়ন কমান্ডারের মাধ্যমে প্রশিক্ষক আলী আজম জেলা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কথা বলে ১৪৩ জন আনসার নিয়োগ দেন। এই ১৪৩ জন আনসারের কাছে থেকে ৫শ-৭শ টাকা করে হাতিয়ে নেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ফারজানা সুমি, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদা বেগম ও প্রশিক্ষক আলী আজম। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দায়িত্বরত আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চলতি দুর্গাপূজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য ৩৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যে নিয়োগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নামমাত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। জেলা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট (সিএ) রাসেল আহম্মেদ ও প্রবীর কুমার রায়ের উপস্থিতিতে ২৩৭ জন বাছাই করা হয়। বাকি ১৪৩ জন পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর নেয়ার কথা থাকলেও আর নেয়া হয়নি। বাকি ওই সংখ্যা পূরণে ইউনিয়ন কমান্ডার বেলাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন ও আল আমিনের সহযোগিতায় জনপ্রতি ৫শ-৭শ টাকা করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ফারজানা সুমি, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদা বেগম ও প্রশিক্ষক আলী আজম।
সাধারণ আনসারদের অভিযোগ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ফারজানা সুমি ছুটিতে থাকলেও যাচাই-বাছাই দিন অফিসে ছুটে আসেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে এ উপজেলায় কর্মরত থাকায় নিজ শ্বশুর বাড়িকে অফিস বানিয়ে ফেলছেন। অফিসের কাজ বাড়িতে বসে করছেন তিনি। তার স্বামী জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসের কর্মরত থাকায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ফারজানা সুমি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছি। তবে বাছাইয়ের দিন অফিসে গিয়েছি। অন্য কর্মকর্তা দায়িত্বে আছেন। তিনি সব বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদা বেগম বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। জেলা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরদিন লোক নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, লোক পাওয়া না গেলে কি করব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট হাফিজ আল মোয়াম্মার গাদ্দাফী ও সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট রাসেল আহম্মেদের মোবাইলে গত শুক্রবার ও গতকাল সোমবার কয়েকবার ফোন দিলেও তারা ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়