সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

জাতীয় গ্রিড আধুনিকায়নে এবার গুরুত্ব দিন

পরের সংবাদ

দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ : চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম ফিরোজ মিয়া, কুমিল্লা থেকে : দেবিদ্বারে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তার ব্যক্তিগত গাড়ি ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে নেতাকর্মী ও পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ৫ সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজিব মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা হলেন- ভিংলাবাড়ি এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মো. জহির, মাহবুব হোসেন এবং বানিয়াপাড়া এলাকার হিমেল ও শুভ। জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ সোমবার রাতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভার আলিয়াবাদ এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। একই সময়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই একই এলাকায় পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এক পর্যায়ে বহরের গাড়ি রাখা নিয়ে উভয়ের নেতাকর্মীর বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মো. আবুল কালাম আজাদ তার গাড়িবহর নিয়ে পৌরসভার ফতেহাবাদ এলাকার একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এসে আল-আমিন নামে স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি রাজী ফখরুলের গাড়িবহর আলিয়াবাদের মণ্ডপ ফতেহাবাদ এলাকার অন্য আরেকটি মণ্ডপে যাচ্ছিল। পথে এমপির নেতাকর্মী মোটরসাইকেল থেকে আবুল কালাম আজাদ ও তার নেতাকর্মীকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর স্লোগান দেন। আবুল কালাম আজাদের নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে আবুল কালাম আজাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় এমপি রাজী ফখরুলের নেতাকর্মী তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলিয়াবাদ এলাকায় আমার নেতাকর্মীকে মারধর করে। তারা কিরিচ, দা, রড নিয়ে হামলা চালায় ও পিস্তলের গুলি ছোড়ে। পরে ভিংলাবাড়ি এলাকায় পুনরায় তারা হামলা চালায়। আমি থামাতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। আমি নিরাপদে আশ্রয় নিই, সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করেছে এবং আমার সরকারি গাড়িতে গুলি করেছে। হামলায় আমার অন্তত ৫/৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত সজিব নামে একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সঙ্গে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। রাজী ফখরুলের সমর্থক ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামিম জানান, এমপি সাহেবের সঙ্গে আমরা ফতেহাবাদ পূজামণ্ডপে যাচ্ছিলাম, এ সময় কালাম চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এমপি সাহেবকে লক্ষ্য করে অশ্লীল শ্লোগান দিতে থাকে। এমপি সাহেব গাড়ি থেকে নেমে এসে সবার উদ্দেশে বলেন, আমি অসুস্থ, আপনারা গোলমাল করবেন না। বলে তিনি চলে যান। আমাদের মোটরসাইকেল বহর থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ঘটনার সময় এমপি সাহেব গাড়িবহরে ছিলেন না। এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। গুলিবর্ষণের বিষয়ে তিনি জানান, আমার উপস্থিতিতে গুলিবর্ষণ হয়নি, তদন্ত করে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়