সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

জাতীয় গ্রিড আধুনিকায়নে এবার গুরুত্ব দিন

পরের সংবাদ

অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাত্রা : ট্রলারডুবিতে ৩ রোহিঙ্গা নারী নিহত, জীবিত উদ্ধার ৪৫

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার : অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গা নারীর লাশ এবং জীবিত অবস্থায় ৪ বাংলাদেশিসহ ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হরমুনিয়া পাড়া এলাকার উপকূলবর্তী গভীর সাগরে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। এরপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হলবনিয়া ঘাট, কাদের পাড়া ও শীলখালী সৈকত থেকে ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী।
কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ জানান, ট্রলারডুবির পর লোকজন বাহারছড়া হলবনিয়া ঘাটে জড়ো হয়। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের টিম ওই এলাকা থেকে ৪৫ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৪ জন ট্রলারের মাঝি ও দালাল, বাকি ৪১ জন রোহিঙ্গা। এরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন সময়ে এসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নৌকায় ওঠে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোস্ট গার্ডের টেকনাফের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। ভোরে হরমুনিয়া পাড়ায় সাগর থেকে সাঁতরিয়ে কিছু রোহিঙ্গাকে উপকূলে আসতে দেখে স্থানীয়রা কোস্ট গার্ডকে খবর দেয়। জীবিত উদ্ধারদের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৩৭ জন পুরুষ রয়েছে বলে জানালেও ট্রলারে মোট কতজন ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেননি এ কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের উদ্ধৃত করে দেলোয়ার বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে গভীর সাগরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসতে থাকে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার জেলেদের সহায়তা চেয়েও তারা পাননি। পরে জেলেদের ছুড়ে দেয়া বয়া ও পানির জারের সহায়তায় সাঁতরিয়ে তারা কূলে ওঠে আসে।
আরো রোহিঙ্গা ভাসতে থাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে জানিয়ে

দেলোয়ার বলেন, তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। জীবিত উদ্ধার ৪ বাংলাদেশি দালাল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা হতে পারে, তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।’
টেকনাফের উপকূল থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে পূর্বের নাফ নদীর কূল ঘেঁষা এবং পশ্চিমের মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে ও পাহাড়ি বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের জমায়েত রয়েছে। জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে সেখানে আটকে থাকে। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌর এলাকার বাস টার্মিনালের পাশে নাফ নদীর কূল ঘেঁষা জনৈক জামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে ২২ জনকে আটক করে বিজিবি ও পুলিশ। এদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি আর ৭ জন রোহিঙ্গা।
টেকনাফের ৬ যুবক নিখোঁজ : এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকা থেকে ৬ যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা হলেন- আব্দু শুক্কুরের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান, নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল কবির, হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল মেলেকের ছেলে আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও নুরুল বশর।
মোহাম্মদ ওসমানের পিতা আব্দুল শুক্কুর বলেন, তাদের খোঁজাখুঁজি করছি এমন খবর পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। তারা দল বেঁধে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ঘর থেকে পালিয়ে এসেছে। আমরা উৎকণ্ঠায় রয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়