জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দুর্ভোগ

পরের সংবাদ

উন্নয়নে দুর্ভোগ : সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কিছু উন্নয়ন প্রকল্প ধীর গতির কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। এছাড়া অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি তো চলছে। সিটি করপোরেশন, মেট্রোরেল স্থাপন, ওয়াসা, তিতাস, ডেসকোসহ সবাই মিলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক, অলিগলি খুঁড়ছে। আজ এই প্রতিষ্ঠান কাটছে তো কাল কাটছে আরেক প্রতিষ্ঠান। এসব খোঁড়াখুঁড়ির ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেই কোনো তদারকি। আর বৃষ্টি হলে অবস্থা আরো নাজুক; সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এতে অভাবনীয় মাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। গত রবিবার ভোর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমায় রাজধানীবাসী স্বস্তি পেলেও তীব্র যানজটের কারণে সকালে অফিস ও স্কুলগামীদের গন্তব্যস্তলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বনানী থেকে উত্তরাগামী মানুষকে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাজধানীবাসী দুর্ভোগে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গতকাল ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে জানা যায়, দুর্ভোগের এখন প্রধান কারণ উত্তরা এলাকায় বিআরটিএ’র প্রকল্প। প্রকল্পের কাজের জন্য সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। এসব গর্তে জমেছে পানি। এই পরিস্তিতিতে বিমানবন্দর হয়ে টঙ্গী বা গাজীপুরের দিকে যানবাহন দ্রুত গতিতে চলতে পারছে না। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। গত কয়েক বছর বর্ষায় ছিল ফ্লাইওভার নির্মাণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। তবে আশার কথা, ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর ওইসব এলাকায় ভোগান্তি কমছে। চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। অনেক এলাকায় বসানো হচ্ছে ড্রেনের পাইপ ও সেবা-সংযোগ। ফলে ঢাকার মূল সড়কের বেশিরভাগ কাটা হচ্ছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী, দেশে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ মাস রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাটি নরম থাকার অজুহাতে এই সময়টাই রাস্তা খননের মাত্রা বেড়ে যায়। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দিনে খনন কাজ বন্ধসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে জরিমানার বিধান রাখা হলেও এর কোনো প্রয়োগ নেই। ঢাকা উত্তরের মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুলের বেশ কিছু এলাকা, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, তেজতুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। এরই মধ্যে বেশকিছু কাজ শেষ হলেও চলতি মৌসুমে পুরো কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়। সেবা কার্যক্রমের স্বার্থে রাজধানীতে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি প্রায়ই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে এ ক্ষেত্রে যে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়, তা মেনে নেয়া কঠিন। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যাতে চলাচল উপযোগী থাকে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর ভোগান্তি প্রশমনে ত্বরিত বাস্তবোচিত পদক্ষেপ নেবে- এমনই প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়