বসতঘর থেকে মা ও ২ শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বছরজুড়েই ‘উন্নয়নে’র দুর্ভোগ : ভাঙাচোরা সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির ফাঁদ > নিত্যসঙ্গী তীব্র যানজট > সামান্য বৃষ্টিতেই জলজট

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক অনলাইন সম্মেলনে বক্তারা : সমাজ পরিবর্তনে এখনো মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর নীতি প্রযোজ্য

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই মানবতা ও শান্তির জন্য প্রতিশ্রæতিবদ্ধ ছিলেন। গান্ধীর মতো বঙ্গবন্ধুর নীতি এখনো সমাজ পরিবর্তনে প্রযোজ্য। গতকাল রবিবার দুপুরে মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধী ও শেখ মুজিবের অবদান’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক অনলাইন সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পুরোগামী নেতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে এই বহুজাতিক সম্মেলনে জড়ো হয়েছি। জাতিসংঘ থেকে অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষিত এই দিনে আমাদের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে অহিংসা, শান্তি, স¤প্রীতি ও ঐক্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যখন আমাদের পৃথিবী যুদ্ধ, সহিংসতা, গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, অসহিষ্ণুতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের দ্বারা বিপন্ন হয়, তখন মহাত্মা গান্ধীর কথা মনে রাখা উচিত।
গান্ধীজি বলেছিলেন, চোখের বদলে চোখ পুরো বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে। তাই তিনি মানবতার কথা বলেছিলেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের প্রতি ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল, সবার জন্য ভালোবাসা, কারো জন্য ঘৃণা নয়।
ভারতের জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ বলেন, গান্ধীজী যেমন সমাজকে প্রভাবিত করেছিলেন, তেমনি একটি দেশের অভ্যুদয় ও সমাজ পরিবর্তনকে বঙ্গবন্ধুও প্রভাবিত করেছিলেন। গান্ধীর মতো বঙ্গবন্ধুর নীতি এখনো সমাজ পরিবর্তনে প্রযোজ্য। মহাত্মা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমান দুজনেই সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিফলন দেখা যায়।
এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের ২১ মানবাধিকার নেতা, শান্তিকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও উন্নয়নকর্মী অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন- বেলজিয়ামের সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক এমইপি পর্তুগিজ মানবাধিকার নেতা পাওলো কাসাকা, পাকিস্তানের নারী অধিকার ও শান্তিকর্মী তেহরিক-ই-নিশওয়ানের সভাপতি ধ্রæপদী নৃত্যশিল্পী সীমা কেরমানি, পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন গবেষক-লেখক তাহিরা আবদুল্লাহ, তুরস্কের পেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি, কবি ও নাট্যকার তারেক গুনেরসেল, আফগান ইন্টেলেকচুয়াল গেøাবাল কমিউনিটি আমেরিকার সভাপতি মানবাধিকার নেতা ও লেখক শাহী সাদাত, সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত আফগান শান্তিকর্মী ও লেখক আসলাম জামি, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্ব সিন্ধি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা অধ্যাপক লাখুমাল লুহানা, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. রাসবিহারী ঘোষ, ফোরাম ফর সেক্যুলার নেপালের সভাপতি রাষ্ট্রদূত যুবনাথ লামসাল, সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত আফগান কণ্ঠশিল্পী ও শান্তিকর্মী ঝালা সারমাস্ত, ইরানের মানবাধিকার নেত্রী ব্যানফশেহ পোরজান্দ, পোল্যান্ডের নেভার অ্যাগেইনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মানবাধিকার নেত্রী নাটালিয়া সিনায়েভা, মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার কর্মী ও এমপি আরমা দত্ত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুনীর চৌধুরীর সন্তান মানবাধিকার নেতা আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির সর্ব-ইউরোপীয় সভাপতি মানবাধিকার কর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, ফিনল্যান্ডের নির্মূল কমিটির সভাপতি মানবাধিকার নেতা ও গবেষক ড. মুজিবর রহমান এবং অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার নেতা টিটো সোহেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়