চারুকলার বকুলতলায় ছায়ানটের শারদ উৎসব

আগের সংবাদ

রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে বড় ধাক্কা : রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি কমেছে, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ মাসে সর্বনিম্ন

পরের সংবাদ

বুরকিনা ফাসোতে ফের সেনা অভ্যুত্থান : ক্ষমতাচ্যুত সামরিক নেতা দামিবা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বুরকিনা ফাসোতে আট মাসের ব্যবধানে আবারো সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সামরিক সরকারের প্রধান পল-হেনরি দামিবা। সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ত্রাওরে এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। দেশটিতে রাত নয়টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি টেলিভিশন প্রচারিত এক বিবৃতিতে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম বলেন, সরকার ভেঙে দেয়া হয়েছে। সংবিধান ও অন্তর্বর্তী সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবিলায় অক্ষমতার কারণে একদল কর্মকর্তা দামিবাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দেন, দেশের সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সব ধরনের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকবে। ত্রাওরে বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের যে দলটি জানুয়ারিতে দামিবার ক্ষমতা দখলে সহায়তা করেছিল, তারাই ইসলামি জঙ্গিদের মোকাবিলায় অদক্ষতার কারণে তাকে (দামিবা) পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
একই কারণ দেখিয়ে জানুয়ারিতে দামিবাও প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরেকে উৎখাত করেছিলেন। ‘আমরা যা করার লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, ক্রমেই বুঝতে পারি যে দামিবার পদক্ষেপে, তার আকাক্সক্ষার কারণে আমরা তা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাই আজ আমরা তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে এ নিয়ে আট মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল। সেনা অভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরেকে হটিয়ে জানুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করেছিলেন দামিবা।

তবে গতকাল বুরকিনা ফাসোর সরকার বলেছে, সেনাবাহিনীর ‘অভ্যন্তরীণ সংকট’- এর কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে, অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্বিক সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিক।
জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সামরিক সরকার। কিন্তু এরপরও মার্চের মাঝামাঝি থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা বেড়েই চলছিল। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি অভ্যুত্থানের পর দামিবা যেভাবে হাজির হয়েছিলেন, সেরকম করেই ত্রাওরেও সৈন্য পরিবেষ্টিত হয়ে টেলিভিশনে হাজির হন এবং সরকার বিলুপ্ত ও সংবিধান স্থগিত করে, সীমান্ত বন্ধ রাখার ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারির ঘোষণা দেন।
অভ্যুত্থানের পর পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট দামিবা কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়