জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সর্বশেষ রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকা ২ অক্টোবর

আগের সংবাদ

ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত : প্রেসিডেন্ট পুতিনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, অবৈধ বলছেন ন্যাটো নেতারা

পরের সংবাদ

বাঘায় অবৈধ স্থাপনা রেখেই ড্রেন নির্মাণ : সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাঘা উপজেলায় ড্রেনের কাজ বন্ধ। মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়ক। মাটি কেটে খুঁড়ে রাখায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তার অংশ ভেঙে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ড্রেন নির্মাণ করায় সড়ক সরু হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। আবার পৌর এলাকার প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহনসহ ভোগান্তি বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী মানুষের। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজের মধ্যে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে, বাঘা পৌর এলাকার বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বাঘা বাজার হয়ে পূর্ব বটতলা এলাকা পর্যন্ত ১৭৮৪ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোকন কন্সট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। জিওবি, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবির অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটারের মতো কাজ হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উত্তর পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাকা অংশ ভেঙে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সরু সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট। মাদ্রাসা মার্কেটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা খুঁড়ে রাখায় সড়কনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারি রাস্তার সীমানায় অবৈধভাবে দোকান, মার্কেট তৈরি করার ফলে যান চলাচলসহ জনসাধারণের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। এরপরেও সেগুলো উচ্ছেদ না করে মূল রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছিল ঠিকাদার। এতে মূল সড়কও ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ড্রেন নির্মাণ করা হলে সড়ক প্রশস্তকরণের সময় অবৈধ দখল আগের মতোই থেকে যাবে। ব্যক্তি মালিকানা জমি রাস্তায় চলে যাবে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ওহিদুর রহমান বলেন, সরকারি সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ড্রেন নির্মাণের কাজ করার দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য (বাঘা-চারঘাট) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।
জানা যায়, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে নাটোরের লালপুর ও পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলমান। কিন্তু সরকারি সড়কের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই বাঘা পৌরসভা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট সুপারভাইজার ডিপক কুমার রায় বলেন, ঝামেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ড্রেনের কোনো কাজ করছি না। অবৈধ স্থাপনা ভেঙে না দিলে ড্রেন রাস্তার ওপর যাবেই। পৌরসভা কর্তৃক দেখানো সীমানায় কাজ করা হচ্ছিল। বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি তো সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করতে পারি না। তবে জনস্বার্থে সরকারি সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ড্রেনের কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যার সরজমিন দেখে গিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। রাজশাহীর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম জানান, কাজ শুরুর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়