জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সর্বশেষ রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকা ২ অক্টোবর

আগের সংবাদ

ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত : প্রেসিডেন্ট পুতিনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, অবৈধ বলছেন ন্যাটো নেতারা

পরের সংবাদ

প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা তুলে নেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি : প্রতি মাসে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আসে। অথচ ওই ‘ভাতাভোগী’ প্রতিবন্ধী জানেন না তিনি ভাতার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ভাতার আবেদনের সময় ইউপি সদস্য তার নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর দিয়ে দেয়ায় টাকা যায় ওই ইউপি সদস্যেল কাছে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ করেন ওই প্রতিবন্ধীর স্ত্রী আমেনা বেগম। অবশেষে তারা বরগুনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটে বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত মো. আবুল বাশার মাতুব্বর ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভাতার টাকা আত্মসাতের প্রতিকার দাবিতে বামনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পরিবারটি।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী আবুল বাসাসের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, তার স্বামী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে কথা বলতে পারেন না। উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হলে গত বছর স্বামীর ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফোন নম্বর তার ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল বাশার মাতুব্বরকে দেয়া হয়। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনলাইনে ভাতার জন্য আবেদন করিয়ে দেন। কিন্তু আবেদনের সময় ইউপি সদস্য কৌশলে নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি নম্বর অনলাইন আবেদন ফর্মে এন্ট্রি করেন, যে নম্বরটি তার ছেলে ব্যবহার করতেন। প্রায় ৪ বার ওই নম্বরে ভাতার টাকা এলেও ইউপি সদস্য সব টাকা আত্মসাৎ করেন। সবাই ভাতা পেলেও ওই পরিবারটি টাকা না পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের দপ্তরে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, তার ভাতার জন্য বিকাশ অপারেটরে যে নম্বর দেয়া হয় সেটি ওই ইউপি সদস্য বাশার মাতুব্বরের ছেলে ব্যবহার করেন। পরে এ ঘটনার বিচার ও তাদের সমুদয় ভাতা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন প্রতিবন্ধীর স্ত্রী।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল বাশার মাতুব্বর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমার ফোনে একটি ভাতার টাকা আসত। তবে টাকাটি কার আমি প্রথমে জানতাম না। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই টাকা প্রতিবন্ধী আবুল বাসারের। পরে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তারা কয়েকদিন আগে বাড়িতে এলে আমি টাকা ফেরত দিয়ে দিই। এছাড়াও অফিসে যোগাযোগ করে তাদের নম্বর পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করছি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজান সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তারা বিষয়টি তদন্ত করেছেন। দু’একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়