জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সর্বশেষ রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকা ২ অক্টোবর

আগের সংবাদ

ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত : প্রেসিডেন্ট পুতিনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, অবৈধ বলছেন ন্যাটো নেতারা

পরের সংবাদ

ডেঙ্গুর প্রকোপ : প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কোনোভাবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। দিন দিন প্রকোপ হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশন দাবি করছে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, তাদের কোনো ত্রæটি নেই। এরপরও কেন ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না সেটা দেখার বিষয়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মূল কাজের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে সিটি করপোরেশন লোক দেখানো কর্মসূচিতে ব্যস্ত- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৪ জন ডেঙ্গু রোগী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে আসে এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষায় বাসাবাড়িতে পানি জমে এই মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সে বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রথম ৫ মাসে ৩২৪ রোগী ছিল। গত বছর দেশে ২৮ হাজার ৪২৯ রোগী শনাক্ত হয়। যার মধ্যে প্রথম ৫ মাসে রোগী ছিল মাত্র ১০০ জন। ২০১৯ ও ২০২১ সালের প্রথম ৫ মাসের তুলনায় চলতি বছর রোগীর সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এখনো ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিষেধক বের করতে পারেনি সরকার। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপ চালিয়ে ১২ শতাংশের বেশি বাড়িতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মাস ধরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৯৮টি ওয়ার্ডে চালানো এই জরিপে ২৭টি ওয়ার্ডকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এসব ওয়ার্ডকে গুরুত্ব দিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু ভরা মৌসুমে যখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তখন সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইইডিসিআরের তথ্য মতে, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে। সাধারণত মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী। হঠাৎ থেমে থেমে স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা পায়। ফলে এডিস মশার বিস্তারও ঘটে বেশি। এ মশা যত বেশি হবে ডেঙ্গুর হারও তত বাড়বে। উৎস বন্ধ না করতে পারলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি থেকেই যাবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু চোখ রাঙালেও, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের তৎপরতা এখনো আগের মতোই। যদিও ঢাকা সিটির দুই মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছেন বলে দাবি করছেন। আমরা দুই মেয়রের বক্তব্যের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কাজের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এক্ষেত্রে নগরবাসীকেও সচেতন থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়