আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : জলবায়ু অভিযোজনের চেয়ে প্রশমনে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অঞ্চলভিত্তিক কৃষি ও শস্য আবাদ একটা ভালো সমাধান হতে পারে। তবে আমাদের উচিত জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে আরো মনোযোগী হওয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা। গতকাল বুধবার রাজধানী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষি- বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষির কার্যকারিতা মূল্যায়ন’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট। সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম। গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স এন্ড পোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেজ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই যৌথ গবেষণায় প্রান্তিক মানুষের জীবিকায়নে জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির মাধ্যমে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খোঁজা হয়। জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের চর, উপকূল, বন্যাপ্রবণ এবং পাহাড়ি অঞ্চলের সাতটি জেলায় এই গবেষণা পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. জাকারিয়া।
গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে ওঠে আসে, জলবায়ু সামঞ্জস্য কৃষি শস্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে জনবল বৃদ্ধি করে সরকারের উচিত বাৎসরিক বা নিয়মিত ভিত্তিতে দুর্যোগ সহনশীল শস্যের সক্ষমতা যাচাই করা। উপকূল অঞ্চলে প্রান্তিক চাষিদের লাভবান করতে সরকারের উচিত বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে চাষিদের প্রণোদনা প্রদান করা। চর অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিদের পণ্য পরিবহন সুবিধা ও বাজার সংযোগ তৈরি করে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষির জন্য সরকারের উচিত পৃথক নীতিমালা গ্রহণ করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়